Balurghat: অদ্ভুতভাবে বৃহদাকৃতি, সুঠাম শরীর, রোজ রাতে বাড়িতে ঢুকছে, চালাচ্ছে স্বেচ্ছাচার… সব দেখেও, গোঙানি শুনেও অসহায় গোটা গ্রামের পুরুষরা!
Balurghat: গ্রামে যে রোজ রাতেই সে ঢুকছে, তার উপস্থিতি জানান পাওয়া যাচ্ছে সকাল হতেই। তছনছ অবস্থা ক্ষেতের, বাড়ির সামনে মোট দগদগে পায়ের ছাপ! মাঝেমধ্যে পোষ্যদের গোঙানিও শোনা যাচ্ছে মধ্যরাতে।
বালুরঘাট: বৃহদাকৃতি চেহারা! গ্রামের এক দু’জন তাকে দেখেওছে। আর বাকিটা শুনেছে লোকমুখে। গ্রামে যে রোজ রাতেই সে ঢুকছে, তার উপস্থিতি জানান পাওয়া যাচ্ছে সকাল হতেই। তছনছ অবস্থা ক্ষেতের, বাড়ির সামনে মোট দগদগে পায়ের ছাপ! মাঝেমধ্যে পোষ্যদের গোঙানিও শোনা যাচ্ছে মধ্যরাতে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে ফের দেখা মিলল নীলগাইয়ের৷ শুধু দেখাই নয়, নীলগাই নষ্ট করছে কৃষকদের ফসল। রাতের বেলা বাধা কফি-সহ অন্যান্য ফসল খেয়ে নিচ্ছে৷ যা নিয়ে সরব কৃষকরা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাহাড়পুরে নীলগাইয়ের অত্যাচারের জেরে নাজেহাল স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, দিনে সেরকম একটা দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু রাত হলেই খাবারের লোভে গ্রামে ঢুকছে। ওই এলাকায় কৃষি জমির সমস্ত শীতকালীন ফসল খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে নীলগাই। চাষের জমিতে দেখা যায় নীলগাইয়ের পায়ের ছাপ।
গ্রামবাসীদের কথায়, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে জমির মধ্যে নীলগাই চলা ফেরা করেছে। কিছু দিন ধরে রাতের বেরোচ্ছে ওই বন্য প্রাণীটি। চাষের সমস্ত জমি থেকে সমস্ত ফসল খেয়ে ফেলছে ওই বন্য প্রাণী। ক্ষতির জেরে কৃষকরা কাটা তাঁর দিয়ে সারা জমি ঘিরেছে ফেলেছে জমি। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা কিছু হচ্ছে না বলে জানান গ্রামবাসীরা।
এদিকে বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তাড়াতাড়ি ওই বন্যপ্রাণীটিকে ধরা হবে। তবে যে পরিমাণ চাষাবাদের ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতির অর্থ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কৃষকদের দেওয়া হবে। তবে সেই ক্ষেত্রে বেশ কিছু সরকারি নিয়ম রয়েছে। সে গুলো সম্পূন্ন হলেই মিলবে সেই ক্ষতিপূরণের অর্থ।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে বালুরঘাট শহরে নীলগাইয়ের দেখা মেলে। জাতীয় সড়কে দৌড়ানোর ছবি ধরা পড়ে। ওই সেই সময় বহু চেষ্টার পরেও নীলগাইকে ধরতে পারেনি বন দফতর। বালুরঘাটের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও দেখা মিলেছিল। তবে তা ধরা পড়েনি। পাহারপুর ফরেস্টে নীলগাই বহু দিন ধরেই থাকে বলে বন দফতর সূত্র খবর।