Balurghat: দত্তপুকুরকাণ্ডের রেশ কাটতে কাটতে না কাটতেই এবার বালুরঘাট, উদ্ধার ১০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি
Balurghat: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত রেখে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন ওই বাড়ির মালিক তরুণ নন্দী। স্থানীয়দের দাবি, অনেকেই ওই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজির খবর জানতেন না।
বালুরঘাট: দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর আরও বেশি সক্রিয় হয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। এলাকার বাড়িতে মজুত রয়েছে কয়েক লাখ টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি। গোপন সূত্রে খবর, পেয়ে সেই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করল বালুরঘাট (Balurghat) থানার পুলিশ। বুধবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চকভৃগু পিডব্লিউডিপাড়া এলাকা থেকে নিষিদ্ধ শব্দ বাজি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ শব্দ বাজির বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকার বেশি৷ এদিকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়৷ এই ঘটনায় বাড়ির মালিক তরুণ নন্দীকে আটক করেছে পুলিশ। বালুরঘাট থানায় নিষিদ্ধ শব্দ বাজি নামানোর সময় উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই বালুরঘাট থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত রেখে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন ওই বাড়ির মালিক তরুণ নন্দী। স্থানীয়দের দাবি, অনেকেই ওই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজির খবর জানতেন না। বাড়ির দোতলায় কিভাবে এত বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত করা হল তা ভেবেই অবাক হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যা নিয়েও আতঙ্ক বাড়ছে এলাকায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বেআইনি বাজি কারখানা না থাকলেও বেআইনি বাজি মজুতের গোডাউন অনেক রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তাই পুজোর আগে জেলা জুড়ে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।
ঘটনায় নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই বাড়িতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত ছিল। কিন্তু, তা আমরা জানতাম না। টিভিতে দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের খবর দেখার পর দেখছি আমাদের এলাকাতেই এই বাজির গোডাউন। কোনওভাবে এই বাজি বিস্ফোরণ হলে ওই বাড়ি সহ আমাদেরও অনেক ক্ষতি হতে পারতো।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, জেলাজুড়েই নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার গোপন সূত্রের খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার আইসির নেতৃত্বে অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কত পরিমাণ বাজি রয়েছে এবং তা কোথা থেকে এসেছে, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।