Snake Bite : ‘কবিরাজ দেখলে বেঁচে উঠবে’, সাপের কামড়ে মৃত শিশুকে হাসপাতাল থেকে তড়িঘড়ি নিয়ে যেতে বিক্ষোভ পরিবারের
Snake Bite : মৃত শিশুর পরিবারের দাবি, গ্রামের কবিরাজ দেখলেই বেঁচে উঠবে তাদের ছেলে। তাই, তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে যেতে চায় তারা।
বালুরঘাট : সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্ত করতে হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। কিন্ত, মৃত শিশুর পরিবার ময়নাতদন্ত করতে দেবে না। তাদের বক্তব্য, গ্রামের কবিরাজ দেখলে তাদের ছেলে বেঁচে উঠবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব তারা ওই শিশুকে গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এই নিয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন মৃত শিশুর পরিজনরা। চিকিৎসায় গাফিলতিরও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এমনকী, পুলিশ এলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। ঘটনাটি বালুরঘাট হাসপাতালের। মৃত শিশুর নাম দীপ মালি(৪)।
বছর চারেকের দীপ মালির বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার তিওর মালিপাড়া এলাকায়। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির আশপাশেই খেলা করছিল সে। সেই সময় তাকে সাপে কামড়ে দেয়। বিষয়টি নজরে আসতে প্রথমে পরিবারের লোকেরা তাকে স্থানীয় কবিরাজের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়৷ পরিবারের অভিযোগ, বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে আসার পরও সেভাবে কোনও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীকে দীপকে দেখেননি। যার ফলে কিছু বাদে মারা যায় শিশুটি। তার মৃত্যুর খবর জানতে পেরেই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিজনরা৷ পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলেকে ডাক্তাররা দেখেননি। শুধু শুধু ফেলে রেখেছিল হাসপাতালের বেডে। তাদের ছেলেকে যদি ঠিকমত দেখত তাহলে এমনটা হত না।
এদিকে, শিশুটির মৃত্যুর পর হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, মৃতের ময়নাতদন্ত হবে। তখন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মৃত শিশুর পরিজনরা। মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর শুরু করেন। তাঁদের দাবি, সন্তানকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে কবিরাজ দেখালেই তাদের ছেলে বেঁচে যাবে। এনিয়ে প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পরে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে পরিবার। এমনকি পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আরও পুলিশ আসে। পুলিশি হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে দেয়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।