Court: ভয়ঙ্করকাণ্ড! এজলাসে পুরো কদমে চলছে শুনানি, নির্দেশ দিচ্ছেন বিচারক, আদালতের ছাদে আগুন ধরালেন কর্মী!
Fire Broke Out At Court: কিন্তু কীভাবে লাগল আগুন? সে তথ্য যখন সামনে এল, তখন আরও বেশি অবাক হলেন বিচারক, আইনজীবী-মামলাকারী সকলেই। জানা যায়, আদালতের ছাদে আসলে আগুন ধরিয়েছিলেন আদালতেরই এক কর্মী।
দক্ষিণ দিনাজপুর: আদালতে তখন মামলা শুনছেন বিচারক। সওয়াল জবাব চলছে। নির্দেশ-পর্যবেক্ষণ দিচ্ছেন বিচারক। হঠাৎই কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় কোর্ট রুম। তখনও বিচারক-মামলাকারী-আইনজীবী বা অন্য কেউই- বিষয়টা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি। মুহূর্তের মধ্যে গোটা আদালত চত্বর কালো ধোঁয়ার গ্রাসে। হইহইকাণ্ড! আদালতের ছাদে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ধোঁয়া৷ হুড়োহুড়ি করে বেরিয়ে আসছেন সকলে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরে অবস্থিত গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত চত্বরে ভয়ঙ্করকাণ্ড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ইঞ্জিন।
কিন্তু কীভাবে লাগল আগুন? কিছুটা থিতু হয় পরিস্থিতি। আগুন লাগার যে কারণ সামনে এল, তখন আরও বেশি অবাক হলেন বিচারক, আইনজীবী-মামলাকারী সকলেই। নজর পড়ে আদালতেরই এক কর্মীর ওপর। তিনি তখনও নোংরা আবর্জনা ঝাঁট দিয়ে চলেছেন একমনে। তারপর দেখা যায়, সেই নোংরা আবর্জনায় আগুন ধরাচ্ছেন তিনিই! তবে কি তাই? প্রশ্ন করা হয়। উত্তরও ইতিবাচকই আসে। আদালতের ছাদে আসলে আগুন ধরিয়েছিলেন আদালতেরই সেই কর্মী।
আদালতের ছাদ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার সেখানকার এক কর্মরত এক কর্মী নোংরা আবর্জনাতে আগুন লাগিয়ে দেন। সেই আগুনের ধোঁয়া গোটা এলাকায় ভরে যায়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। ওই কর্মীও বিশেষ কিছু না বুঝে কাজটা করে ফেলেছিলেন। আর যার জেরে এত কাণ্ড! দমকল পুলিশে ছয়লাপ আদালত চত্বক। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে।যদিও দমকলের ইঞ্জিন আর ব্যবহার করতে হয়নি। আদালতে থাকা কর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এবিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রঞ্জন মিত্র বলেন, “আমাদেরকে জানিয়ে যদি কাজটি করত, তাহলে আদালতে থাকা কর্মী সহ স্থানীয় লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতো না।”