Power Interruption: ‘দিনে ৬-৭ ঘণ্টাও কারেন্ট থাকে না, ইয়ার্কি নাকি?’, অবরোধে গ্রামবাসীরা
South Dinajpur: স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিমের কথায়, “২-৩ সপ্তাহ ধরে আমরা ভুগছি। বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে ফোন করলে ফোন ধরে না। আমরা কোনও পরিষেবাও পাচ্ছি না। কোনও সহযোগিতা আমরা পাই না। বারবার লোডশেডিং হয়ে যায়। তাই আমরা এখানে পথে বসেছি।"
কুশমণ্ডি: একে তো গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তার উপর সারাদিনে ৬-৭ ঘণ্টাও টানা কারেন্ট থাকছে কি না সন্দেহ আছে। বারবার সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানালেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রতিবাদে এবার রাস্তা অবরোধ করলেন এলাকার বাসিন্দারা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের বড়গাছি-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নিয়মিত লোডশেডিং হয়। অভিযোগ, বিদ্যুৎ পরিষেবা রাতে তো থাকেই না, দিনেরবেলায়ও তথৈব চ। প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে মহিপাল কুশমণ্ডি রাজ্য সড়কে বড়গাছি এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা।
বড়গাছি, আঙ্গারিপাড়া সালুকুড়ি-সহ একাধিক গ্ৰামের বাসিন্দারা এদিন পথে নামেন। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিমের কথায়, “২-৩ সপ্তাহ ধরে আমরা ভুগছি। বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে ফোন করলে ফোন ধরে না। আমরা কোনও পরিষেবাও পাচ্ছি না। কোনও সহযোগিতা আমরা পাই না। বারবার লোডশেডিং হয়ে যায়। তাই আমরা এখানে পথে বসেছি। আমরা জানতে চাই পরিষেবা দিতে ওরা পারবে কি পারবে না। পুলিশ আসুক, বিদ্যুৎ দফতরের লোকজনকে নিয়ে আসুক। এটা দিনের পর দিন সহ্য করা হবে না।”
এদিকে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গাড়ি চলাচল। মঞ্জুর আলম নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, “এই গরমে আমরা এমনিতেই নাজেহাল। তার উপর যদি কারেন্ট না থাকে ভাবুন তো কষ্ট কতটা হয়? অথচ ওদের অফিসে ফোন করলে কেউ ধরে না। রাতে তো থাকেই না অর্ধেক দিন। এতক্ষণ ধরে কারেন্ট থাকে না, ইয়ার্কি নাকি?’, অবরোধে গ্রামবাসীরা” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ। পুলিশই বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।