TMC Councillor Audio Clip: ‘প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করব’, কাটমানি চাওয়ার ভাইরাল অডিয়ো নিয়ে বললেন কাউন্সিলর
Councillor Viral Audio: অডিয়োতে কাটমানির বিষয়ে নানা কথাবার্তা শোনা যায়। ঠিকাদারের কাছে দর কষাকষি করছে কয়েকজন। কাজের জন্য চাওয়া হচ্ছে কাটমানি।
বালুরঘাট: পুরসভার কাজে কাটমানি চাওয়ার অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রায় এক সপ্তাহ আগে বালুরঘাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নীতা নন্দীর স্বামীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে মুখ খুললেন কাউন্সিলর নীতা নন্দী। শনিবার নিজের ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি দাবি করেন, “কাটমানি চাওয়ার ভাইরাল অডিয়োতে কোনওভাবেই আমি বা আমার স্বামী যুক্ত নই। যুক্ত আছি প্রমাণ করতে পারলে, আমি নিজেই আমার পদ থেকে পদত্যাগ করব।” এমনকি এই ঘটনায় বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর এই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই ফের আক্রমণ করেছে বিজেপি। বামেরাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানি নিয়ে সরব হয়েছে।
গত সপ্তাহে একটি অডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই অডিয়োতে কাটমানির বিষয়ে নানা কথাবার্তা শোনা যায়। ঠিকাদারের কাছে দর কষাকষি করছে কয়েকজন। কাজের জন্য চাওয়া হচ্ছে কাটমানি। ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার কাজে দিতে হবে ২০%। অপরপাশে কাকুতি মিনতি করছেন সেই ঠিকাদার। ওই অডিয়োর সঙ্গে আবার কাউন্সিলর নীতা নন্দীর ছবি যুক্ত করে কেউ বা কারা ভাইরাল করে দেয়। বিজেপির দাবি, ওই অডিয়ো ক্লিপ বালুরঘাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নীতা নন্দীর স্বামী ও তাঁর অনুগামীদের কথোপকথন। তাঁরাই সেই ঠিকাদারের কাছে কাটমানির দাবি করছেন। অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা।
তবে এই ক্লিপ নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে বালুরঘাটে। এবিষয়ে কাউন্সিলর নীতা নন্দী বলেন, “মেয়ের অসুস্থতার কারণে আমরা বাইরে ছিলাম। তার মধ্যে একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে আমার ও আমার স্বামীর নাম জড়ানো হয়েছে। এটা কেউ বা কারা চক্রান্ত করে করেছে। আমি বা আমার স্বামী কোনওভাবেই যুক্ত নই। যুক্ত আছি প্রমাণ করতে পারলে আমি পদত্যাগ করব। এটার বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আসল তদন্ত করে পুলিশ খুঁজে বের করুক।”
এবিষয়ে পালটা বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে প্রমাণ পেয়েছি, ওই অডিয়োটি কাউন্সিলরের স্বামী ও তাঁর অনুগামীদের। এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন? তাঁকে তো এতদিন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এতদিন পর এসে তিনি মিথ্যে কথা বলছেন। আমরা মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি, এই কাটমানির টাকা কতদূর যায়, তা জানার জন্য। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নিলে আমরা পৌরসভা ঘেরাও করে আন্দোলন করব।”