Protest for marriage in Balurghat: ‘ভালবাসার বদলে ভালবাসা’ কেন জুটবে না? রাস্তায় বসে পড়লেন যুবক

Protest for marriage in Balurghat: বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পরও ভেঙে গিয়েছে বিয়ে। আর তা প্রতিবেশীরাই ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

Protest for marriage in Balurghat: 'ভালবাসার বদলে ভালবাসা' কেন জুটবে না? রাস্তায় বসে পড়লেন যুবক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 03, 2022 | 8:13 PM

বালুরঘাট : পাকা হয়ে গিয়েছিল বিয়ে। সব কথাবার্তাও সারা হয়ে গিয়েছিল। দেখাশোনা করে বিয়ে হলেও মনে মনে পাত্রীকে ভালবাসতে শুরু করেছিলেন যুবক। কিন্তু কাজ থেকে দেশে ফিরেই জানতে পারলেন বিয়েটা হচ্ছে না! তাঁকে না জানিয়েই নাকি সেই বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাত্রীর অন্য জায়গায় বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছে। এ কথা শুনে রীতি মতো ভেঙে পড়েছেন ওই যুবক। মঙ্গলবার তিনি প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বসে পড়েন। গ্রামের রাস্তায় ধর্নায় বসে পড়েছেন তিনি। তবে পাত্রীর পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে চাননি তিনি। তাঁর সঙ্গে বিয়ে না হলে অনশনে বসবেন বলেও জানিয়েছেন ওই যুবক।

মঙ্গলবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দপল্লী এলাকায় সজল নট্ট (৩১) নামে ওই যুবক ধর্নায় বসেন। তাঁর বুকে লাগানো প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘মায়ের বদলে মা ও ভালবাসার বদলে ভালবাসা’। বিষয়টি জানতে পেরেই ওই এলাকায় যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ সাহা। এ দিকে ধর্নায় বসা ওই যুবকের কথায় একাধিক অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বালুরঘাট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, সজল নট্ট পেশায় রাজমিস্ত্রী। কর্মসূত্রে বেশির ভাগ সময় ভিন রাজ্যেই থাকেন তিনি। মাস খানেক আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। এ দিকে বিয়ের জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই কথাবার্তা চলছিল। সজলের পরিবারের দাবি, তাঁর বিয়ের সম্বন্ধও পাকাপাকি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পাড়া প্রতিবেশী সেই বিয়ে ভেঙে দেয় বলেই অভিযোগ। বিষয়টি জানার পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্ল্যাকার্ড বুকে লাগিয়ে পাড়ার মোড়ের মাথায় বসে পড়েন তিনি। তাঁর অভিযোগ, যাঁর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল সেই পাত্রীর অন্য কোথায় বিয়ে ঠিক হয়েছে। কেন এমনটা করা হল তার সঙ্গে, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি।

এ দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ সাহা। কথা বলেন ধর্নায় বসা যুবকের সঙ্গে। কিন্তু তার কথায় অসঙ্গতি থাকায় খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ওই যুবকের দাবি, ভালবাসা ফিরে পেতে ধর্নায় বসেছেন তিনি।

সজলের দিদি সীমা নট্ট জানান, তাঁর ভাই কয়েক দিন আগেই বাড়ি ফিরেছেন। পাড়ার সকলেই তাঁকে দ্রুত বিয়ে করার কথা বলে। তাঁর ভাইয়ের বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, সেই বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন স্থানীয়রাই। মেয়ের পরিবারে ভাইয়ের নামে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ সাহা জানান, পুরো বিষয়টি কথা বলে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।