Student Death: তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখত ছোট্ট আদিবাসী গ্রাম, একটি দুর্ঘটনা আর অকালেই স্বপ্নভঙ্গ
Balurghat: জানা গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ওসাইল ভাটরার বাসিন্দা পার্থ তিরকি।
দক্ষিণ দিনাজপুর: এলাকায় মেধাবী ছাত্র। ভিন রাজ্যে থেকে এসেছিল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ। ফলে তাকে নিয়ে গোটা গ্রামের আট থেকে আশি দেখেছিলেন বহু স্বপ্ন। আশা ছিল, আদিবাসী গ্রামের নাম উজ্জ্বল করবেন তিনি। কিন্তু এক লহমা যেন বদলে গেল সবকিছু। সামান্য মোবাইলে চার্জ দিয়ে গিয়ে থেমে গেল জীবন। তড়িৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলো ওই যুবকের। মৃতের নাম পার্থ তিরকি(১৯)। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ওসাইল ভাটরার বাসিন্দা পার্থ। অল্প বয়স থেকেই গ্রামের মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এসেছিল কাঙ্ক্ষিত সাফল্যও। আর তারই সুবাদে দক্ষিণ ভারতের কেরালায় নামি কলেজে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি, ছুটিতে বাড়ি এলেও ২ মে ফের কেরল ফেরত যাওয়ার কথা ছিল প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের। কিন্তু তার আগেই অঘটন! যা গোটা গ্রামজুড়ে অন্ধকার নামিয়েছে অসময়েই। মঙ্গলবার সকালে মোবাইলে চার্জ দিতে গিয়ে তড়িৎস্পৃষ্ট হন পার্থ। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যান তিনি। সেই আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এরপর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।
কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে বালুরঘাট থানার পুলিশ ওই ছাত্রের মৃতদেহটি উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনা প্রসঙ্গে পার্থর এক আত্মীয় জহন কাউয়া বলেন, “আর কিছুদিন পরেই কিরণ চলে যাওয়ার কথা ছিল পার্থর। আমরা সকলেই ওকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম। ছোট থেকেই ওর মেধা আমাদের অবাক করেছে। ভাই আমাদের আদিবাসী সমাজ থেকে ও সফল হবে এবং আমাদের গ্রামের নাম উজ্জ্বল করবে বলে অনেক স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু আজ সেই স্বপ্ন যেন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ওর মৃত্যুতে।”
অন্য আত্মীয় এমেলিউস এক্কা বলেন, “আমাদের গ্রামে আলো জ্বলবে। পার্থকে আঁকড়ে আমরা দিন-রাত এই স্বপ্নই দেখতাম। কিন্তু আজ থেকে আমাদের গ্রাম চিরজীবনের মতো অন্ধকারে ডুবে গেল। এদিকে, গোটা বিষয়টিতে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Minor Harassment: একরাতে ৩ নাবালিকার ‘শ্লীলতাহানি’, পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য