Mithun Chakraborty: বিশ্রাম মালদায়, বালুরঘাটে কোনও হোটেলেই থাকার ব্যবস্থা হল না মিঠুনের
Balurghat: শুধু সার্কিট হাউসে নয়, বালুরঘাটের অন্য কোনও হোটেলেও শেষ পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর থাকার ব্যবস্থা করা যায়নি। সেই কারণেই মালদার একটি হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয় মিঠুন চক্রবর্তীর জন্য। সেখান থেকেই বালুরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
বালুরঘাট ও মালদা: কলকাতায় আসার পর থেকেই সদাব্যস্ত মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির প্রাক পুজো সম্মেলনীর জন্যই তাঁর এই রাজ্য সফর। সেই সূত্র ধরে রবিবার বালুরঘাটে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু মিঠুনের বালুরঘাট সফরের আগেই একগুচ্ছ বিতর্ক। অভিযোগ উঠছে,মিঠুনের সার্কিট হাউসে থাকার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। শুধু সার্কিট হাউসে নয়, বালুরঘাটের অন্য কোনও হোটেলেও শেষ পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর থাকার ব্যবস্থা করা যায়নি। সেই কারণেই মালদার একটি হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয় মিঠুন চক্রবর্তীর জন্য। সেখান থেকেই বালুরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
যদিও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,বালুরঘাট সার্কিট হাউসে সব ঘর বুকিং রয়েছে। কোনও ঘর ফাঁকা নেই। সেই কারণেই মিঠুন চক্রবর্তীর জন্য ঘর দেওয়া সম্ভব হয়নি। যদিও এই নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার এই বিষয়ে বলেন, “এটি সরকারি বিষয়। পুরো বিষয়টি প্রশাসন দেখে। সরকারি নিয়ম মেনে সার্কিট হাউসে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হয়। বিজেপির করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।”
এদিকে মহালয়ার সকালে মালদায় সময় মিঠুন চক্রবর্তী কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চাননি। বললেন, “কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, শুধু পুজোর শুভেচ্ছা।” তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি এদিন মিঠুন চক্রবর্তীর কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, “সার্কিট হাউস না মেলায় মালদার হোটেলে থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখান থেকে বালুরঘাট। পুজো উদ্বোধন করবেন। আবার ফিরে আসবেন মালদায়। হোটেলে বিশ্রাম করে সন্ধ্যায় মালদা জেলা পার্টি অফিসে যাবেন। সেখানে জেলা নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ পাশাপাশি দলীয় আলোচনা করবেন। এরপর রাতের ট্রেনে ফিরবেন কলকাতার পথে।”
উল্লেখ্য, মিঠুন চক্রবর্তীর বালুরঘাট সফরের আগে শুধু সার্কিট হাউস বিতর্কই নয়। আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় মিঠুন ও সুকান্ত মজুমদারের পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয় বলেই দাবি শাসক পক্ষের।