Sukanta Majumdar: সুকান্তর দত্তক গ্রামে ভাঙাচোরা রাস্তা, ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসী
Balurghat: বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েত। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা। এই গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে গ্রাম চকরাম প্রসাদ। এ গ্রামে লুকিয়ে '৭১-এর যুদ্ধের ইতিহাস। এ গ্রামের যুবক চুড়কা মুর্মু শহিদ হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে ভোটে জিতে বালুরঘাটের সাংসদ হন সুকান্ত মজুমদার। তার পর পরই চকরাম প্রসাদ গ্রাম দত্তক নেন তিনি।
বালুরঘাট: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দত্তক নিয়েছিলেন একটা আস্ত গ্রাম। কিন্তু সে গ্রামের পথঘাটের হতশ্রী দশায় চকরাম প্রসাদের বাসিন্দাদের ক্ষোভ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এর আগে একবার সাংসদকে সামনে পেয়ে সবটা জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে তারপরও কাজ হয়নি। যে তিমিরে তাঁরা ছিলেন, সেখানেই এখনও দাঁড়িয়ে। তাই এবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ গ্রামের লোকজন।
বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েত। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা। এই গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে গ্রাম চকরাম প্রসাদ। এ গ্রামে লুকিয়ে ‘৭১-এর যুদ্ধের ইতিহাস। এ গ্রামের যুবক চুড়কা মুর্মু শহিদ হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে ভোটে জিতে বালুরঘাটের সাংসদ হন সুকান্ত মজুমদার। তার পর পরই চকরাম প্রসাদ গ্রাম দত্তক নেন তিনি।
সোমবার বিকালে জেলাশাসকের কাছে এই গ্রামের বাসিন্দারা স্মারকলিপি দেন। বিজেপি সাংসদের ক্ষোভ, এই রাস্তা সংস্কারের জন্য নিজের তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা জেলা প্রশাসনকে দেওয়ার পরও কাজ হয়নি। গ্রামের লোকেরাও বলছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই রাস্তা হচ্ছে না।
সাংসদ ২০২৩ সালের মে মাসে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন বলে খবর। কিন্তু জেলা পরিষদ হাতই দেয়নি সে রাস্তায়। তাই সোমবার ওই গ্রামের বাসিন্দারা জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেছেন। সুকান্তের দাবি, তৃণমূল নেতারা ইচ্ছা করে এই রাস্তা করতে দিচ্ছেন না। গ্রামেরও একাংশ সেটা মানছেন। তবে জেলা পরিষদের দাবি, এই রাস্তার টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি রাস্তার কাজ শুরুও হবে।
জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি অম্বরিশ সরকার বলেন, “সাংসদ তহবিল থেকে টাকা অনুমোদন হয়ে গিয়েছে ঠিকই। শুধু ওই রাস্তাই নয়, ৮টা প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এরমধ্যে ৫টার টেন্ডার প্রসেস চলছে। ৩টের কাজ হচ্ছে।”