Balurghat: জ্বরে ভুগছে পড়ুয়ারা, হয়নি কোভিড পরীক্ষা, স্কুলে মেডিক্যাল টিম পাঠাচ্ছেন জেলাশাসক

Balurghat: পড়ুয়াদের অসুস্থতার এই বিষয়টি গিয়ে পৌঁছেছে জেলাশাসকের কানেও। তিনি ওই স্কুলে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে চিকিৎসা করানো এবং করোনা পরীক্ষা করানোর কথা বলেছেন।

Balurghat: জ্বরে ভুগছে পড়ুয়ারা, হয়নি কোভিড পরীক্ষা, স্কুলে মেডিক্যাল টিম পাঠাচ্ছেন জেলাশাসক
বালুরঘাটের এই স্কুল ঘিরেই বাড়ছে দুশ্চিন্তা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2022 | 9:45 PM

বালুরঘাট : করোনা পরিস্থিত ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে বালুরঘাটে। গতসপ্তাহেই নদীপাড় গার্লস হাইস্কুলের এক শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর এক আবাসিক ছাত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সেই ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষও সতর্ক হয়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে হোস্টেল থেকে বাড়িতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতা ক্রমেই বাড়ছে ছাত্রীদের মধ্যে। গতকাল (মঙ্গলবার) বেশ কয়েকজন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। বুধবার আবারও নতুন করে ১৪ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরা সবাই এখনও স্কুলেই রয়ে গিয়েছে। যে পড়ুয়ারা অসুস্থ বোধ করছিল বা যাঁদের করোনার উপসর্গ রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছিল, তাঁদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বটে, কিন্তু করোনা পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। অভিভাবকরা সেই নিয়ে প্রশ্নও তুলতে শুরু করে দিয়েছিলেন। পড়ুয়াদের অসুস্থতার এই বিষয়টি গিয়ে পৌঁছেছে জেলাশাসকের কানেও। তিনি ওই স্কুলে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে চিকিৎসা করানো এবং করোনা পরীক্ষা করানোর কথা বলেছেন।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বুধবার করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০। মঙ্গলবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৭ জন। জেলায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা এর আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে বিগত কিছুদিন ধরে। সক্রিয় রোগীদের সংখ্যাও চিন্তায় রাখছে জেলা প্রশাসনকে। জুলাই মাসেই বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের চকরাম বিএল হাইস্কুলে দুই পড়ুয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। তারপর দ্রুত সেই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার পর এবার নদীপাড় গার্লস হাইস্কুলের পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ওই স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মী মাধুরী সরকার এই বিষয়ে জানান, “অসুস্থতার লক্ষ্মণ দেখে করোনা মনে হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু পরীক্ষা হয়নি, তাই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখানো হয়েছিল এবং তাঁর পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে।”

নদীপাড় গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রীতা ধর বলেন, “স্কুলের অনেক ছাত্রীরই জ্বর। যার ফলে স্কুলে সকলে একটু ভয়ে রয়েছে। আজ কয়েকজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আগামীকালও এই পরিস্থিতি থাকলে হোস্টেল বন্ধ করে দেওয়া হবে। ছাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করানো যায় কি না, সে বিষয়ে দেখতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।” অন্যদিকে এই বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “ওই স্কুলে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হচ্ছে। করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষাও করা হবে।”