Dakshin Dinajpur: মামলা গড়ায় হাইকোর্ট অবধি, অবশেষে ইস্তফা দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান

Balurghat: এই প্রধানের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও জোর তরজা। বিজেপির টিকিটে জিতলেও দলের দাবি পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও তা মানতে চাননি প্রধান।

Dakshin Dinajpur: মামলা গড়ায় হাইকোর্ট অবধি, অবশেষে ইস্তফা দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান
মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2023 | 8:08 PM

বালুরঘাট: প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর। শুক্রবার প্রধানের পদে তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত দায়িত্ব বিজেপির উপপ্রধানের হাতে তুলে দেন তিনি। বিজেপি ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতে ২০টি আসনের বিজেপি ১১ টিতে জয়ী হয়। তৃণমূল পায় ৬টি, বাকি ৩টি বামেদের দখলে ছিল। বিজেপির অভিযোগ, এরপরেই বিজেপির প্রধান মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর তৃণমূলে চলে যান। কিছুদিন আগে তৃণমূলের এক সদস্যর মৃত্যুর পর বিজেপি অনাস্থা আনে। বিজেপির অভিযোগ, বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে সেই অনাস্থার সভা ভেস্তে দেন। যা নিয়ে তুলকালাম হয়। বালুরঘাট বিডিও অফিসে ঢুকে বিডিওকে চেয়ার ছুঁড়ে মারার অভিযোগ ওঠে এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা জেল হেফাজতে থাকলেও সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান। এরইমধ্যে ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের অনাস্থা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।

হাইকোর্ট অনাস্থা সভার জন্য সময়ও বেধে দেয়। এদিকে এরপরই প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়ান মল্লিকা। বিজেপির দাবি, হেরে যাবেন জেনেই ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও মল্লিকা কর্মকার সূত্রধরের দাবি, বিজেপির বাকি পঞ্চায়েত সদস্যরা তাঁকে হেনস্থা করেন। কাজও করতে দেন না। তাই তিনি সরে দাঁড়ান। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির পাল্টা দাবি, প্রধান তৃণমূলে যোগ দেন। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরই ইস্তফাও দিয়ে দেন।

মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর বলেন, “আমি বিজেপির প্রধান ছিলাম। বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যরা আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করেছেন। কাজ করতে দেওয়া হয়নি। তাই আজকে প্রধানের পদ থেকে ইস্তাফা দিলাম। এছাড়াও বিজেপি ছাড়ার জন্য বিজেপি জেলা সভাপতির কাছে চিঠি দিয়েছি।”

এদিকে বিজেপির উপপ্রধান সুভাষ সরকার বলেন, “উনি যে অভিযোগ তুলেছেন সবই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিজেপির টিকিটে প্রধান হওয়ার পর উনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাই ওনার বিরুদ্ধে এর আগেও আমরা অনাস্থা এনেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের অসহযোগিতায় পারিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে ফের অনাস্থা আনার আগে তিনিই ইস্তফা দিলেন।”

এ বিষয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কৌশিক চৌধুরী বলেন, “প্রধান আমাদের দলে ছিলেন না। তবে আমরা উন্নয়নের স্বার্থে সহযোগিতা করেছিলাম। কিন্তু বিজেপির সদস্যরাই ওনাকে সহযোগিতা করেনি। তাই হয়ত বিজেপি ছেড়ে দিলেন।” বালুরঘাট ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সুশান্ত প্রামাণিক বলেন, “অনাস্থা আনার নির্দেশ ছিল হাইকোর্টের। শুক্রবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি সমস্ত দায়িত্ব উপপ্রধান সুভাষ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছেন।”