ISF-TMC: ভাঙড়কাণ্ডে রাতভর তল্লাশিতে গ্রেফতার আরও ৩, গ্রেফতারি বেড়ে ৫০
Bhangar: গত ২০ জানুয়ারি দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। পরদিন ভয়াবহ হয়ে ওঠে হাতিশালা এলাকা।
কলকাতা: ভাঙড়ের হাতিশালায় আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূলের (TMC) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হল। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে কাশীপুর থানা এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। এই ঘটনায় এর আগে তিন দফায় গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমে ৪৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর প্রথমে একজন, পরে আরও তিনজন গ্রেফতার হন। এবার আরও তিনজনকে ধরা হল। কাশীপুর থানা এলাকায় কাশীপুর থানা ও কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ ও সংগৃহীত ভিডিও দেখে শনাক্ত করার পর এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি। তিনজনকে শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।
গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়ের হাতিশালা। সেদিন ছিল আইএসএফের প্রতিষ্ঠাদিবস। রানি রাসমণি রোডে ছিল তাদের অনুষ্ঠান। অভিযোগ, সকালে ট্রাকে করে আইএসএফ কর্মীরা যখন কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁদের ট্রাকে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের লোকজনের দিকে।
পাল্টা আরাবুল ইসলাম অভিযোগ তোলেন, তাঁদের লোকজনের উপর হামলা করা হয়েছে। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির লোকজনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ধুন্ধুমার চলে এলাকায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ি আক্রান্ত হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপরই কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি শুরু হয়। আইএসএফের অভিযোগ, বেছে বেছে তাদের কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। কলকাতার রানি রাসমণি রোডেও এই অশান্তির আঁচ পৌঁছয়। গ্রেফতার হন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। আপাতত তিনি লালবাজারে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত হয়েছে তাঁর।