South Dinajpur: পাকা রাস্তার দাবিতে ধুন্ধুমার কুশমণ্ডিতে, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির অভিযোগ
South Dinajpur News: দিনের পর দিন ভাঙাচোরা, গর্ত, খানাখন্দে ভরা রাস্তা। বর্ষাকাল এলে সেই রাস্তায় এলাকার লোকজন হাঁটাচলা করতে পারেন না বলে অভিযোগ।
দক্ষিণ দিনাজপুর: পাকা রাস্তার দাবিতে পথঅবরোধ। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড কুশমণ্ডিতে। কুশমণ্ডি ব্লকের আমিনপুর মোড়ে রায়গঞ্জ বুনিয়াদপুর রাজ্য সড়ক। বৃহস্পতিবার রীতিমতো সেই রাস্তায় শুয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা বেহাল। অথচ কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয় না। তারই প্রতিবাদে এদিন পথে নামেন তাঁরা। এদিকে অভিযোগ, সেই পথ অবরোধ তুলতে এসে কুশমণ্ডি থানার পুলিশকেও প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়। এরপর লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ তা মানতে চায়নি।
দিনের পর দিন ভাঙাচোরা, গর্ত, খানাখন্দে ভরা রাস্তা। বর্ষাকাল এলে সেই রাস্তায় এলাকার লোকজন হাঁটাচলা করতে পারেন না বলে অভিযোগ। এলাকার লোকজনের দাবি, একটা পাকা রাস্তা করে দেওয়া হোক। সেই দাবি নিয়েই এদিন আমিনপুর মোড়ে পথ অবরোধ করেন শতাধিক গ্রামবাসী। যানজটে স্তব্ধ হয়ে যায় রাজ্য সড়ক। খবর যায় কুশমণ্ডি থানায়।
এরপরই কুশমণ্ডি থানার আইসি তপন পাল বিশাল দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে অবরোধকারীরা কোনওভাবেই তা মানতে চাননি। অভিযোগ, এরপরই পুলিশের সঙ্গে প্রবল ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। পুলিশ সেই সময় অবরোধকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। একজনের গাল কেটে যায়, পাঁচটি সেলাইও করতে হয় বলেই এলাকাবাসীর দাবি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি থানার গজপুকুর থেকে নওপাড়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা। সেই রাস্তাই পাকা করার দাবি তোলেন এলাকার লোকেরা। কাউকে বলেই কাজ না হওয়ায় এদিন প্রায় এক ঘণ্টা রাজ্য সড়কে গিয়ে বসে পড়েন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে কুশমণ্ডি ব্লকের জয়েন্ট বিডিও রোহন বিশ্বকর্মাও যান। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আহত ইমরান আলি বলেন, “আমি রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম। পুলিশ এসে ধাক্কাধাক্কি করে, আমি পড়ে যাই। ওখান থেকে একটা গাছে ডাল নিয়ে আমাকে এমন মারল গালে এসে লাগল। আমরা কিছুই করিনি। তারপরও এই অবস্থা। ৫টা সেলাই হয়েছে।” যদিও পুলিশ জানিয়েছে, কারও গায়েই হাত তোলা হয়নি। লাঠিচার্জেরও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।