CID: গঙ্গারামপুরে ফের সিআইডি হানা, ওম গুপ্তার বাড়ি থেকে উদ্ধার বেশ কিছু নথি
South Dinajpur: ওম গুপ্তা প্রায় দু'মাস বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন। মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
দক্ষিণ দিনাজপুর: বৃহস্পতিবার আবারও ওম গুপ্তার বাড়িতে হানা সিআইডির। মঙ্গলবারের পর আবারও এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর বড়বাজার এলাকার মাছ ব্যবসায়ীর আত্মীয় ওম গুপ্তার বাড়িতে যায় সিআইডি। সম্প্রতি মালদহের গাজোলের মাছ ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ সাহার বাড়ি থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে সিআইডি। টাকার উৎস স্পষ্ট করতে না পারায় জয়প্রকাশকে গ্রেফতারও করা হয়। ওম গুপ্তাও প্রথম থেকেই সিআইডির স্ক্যানারে। সিআইডি সূত্রে খবর, এদিনের অভিযানে বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সিআইডি আধিকারিক কৃষ্ণ বেরা এদিন বলেন, “গাজোলের ঘটনায় তদন্তের কাজেই এসেছি। কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে। ব্যাঙ্কের কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি এখন কিছু বলা যাবে না।”
ওম গুপ্তা প্রায় দু’মাস বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন। মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এই ওমকে জেরা করেই জয়প্রকাশের নামও জানতে পারেন তদন্তকারীরা। ওমের ভগ্নিপতি জয়প্রকাশ। ওমের বোনের বিয়ে হয়েছে মালদহে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিএসএফ এবং নারকোটিক বিভাগ যৌথ অভিযান চালায় গঙ্গারামপুরে। এরপরই ওম গুপ্তার বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার নিষিদ্ধ ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে সূত্রের খবর। গ্রেফতার হন ওম।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যদিও সিআইডির তদন্ত ঘিরে প্রশ্ন তোলেন এদিনও। তাঁর মতে, ইডি, সিবিআইয়ের হাত থেকে তথ্যপ্রমাণ সরিয়ে রাখতেই সিআইডির অতি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে রাজ্যে বলে দাবি তাঁর। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এতদিন কেন সিআইডির টনক নড়েনি আমরা বুঝতে পারছি না। এখন যেদিন থেকে ইডি এবং সিবিআই সক্রিয় হয়েছে, তবে থেকে তাদেরও অতি সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে। আমার তো মনে হয় সাক্ষ্য যাতে সিবিআইয়ের হাতে না পৌঁছয় তার জন্য আগেভাগে গ্রেফতারিও হচ্ছে। যেমন বারিক বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থানার দোতলায় এসি রুমে বসিয়ে রাখা হয়েছে।” যদিও শাসকদলের তরফে বিজেপির বক্তব্য আমল দিতেই রাজি নয়।