Patiram woman Death: নিজেরা দেখাশোনা করেই বিয়ে দিয়েছিলেন, বিয়ের ১ বছরের মধ্যেই একমাত্র মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতি দেখলেন বাবা

Balurghat: মৃতার নাম জয়শ্রী রায় (২০)। গতকাল বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই গৃহবধূ। বুধবার দুপুরে বালুরঘাট ও পতিরাম থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠায়।

Patiram woman Death: নিজেরা দেখাশোনা করেই বিয়ে দিয়েছিলেন, বিয়ের ১ বছরের মধ্যেই একমাত্র মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতি দেখলেন বাবা
মৃত মহিলার বাবা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2022 | 3:05 PM

পতিরাম: বিয়ের এক বছরের মধ্যেই ভয়ঙ্কর পরিণতি। গৃহবধূকে কীটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে।

মৃতার নাম জয়শ্রী রায় (২০)। গতকাল বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই গৃহবধূ। বুধবার দুপুরে বালুরঘাট ও পতিরাম থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠায়। বালুরঘাট পুলিশ মর্গে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে পতিরাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে মৃতের পরিবার। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার বাপের বাড়ি কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগঞ্জ এলাকায়। বছর খানেক আগে পতিরাম থানার খাঁপুরের পাপুন বর্মণ নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় জয়শ্রীর। দেখাশুনা করেই বিয়ে দেয় দুই পরিবার ৷ পাপুন পেশায় সবজি ব্যবসায়ী। পাশিপাশি কৃষি কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের একমাস পর থেকেই কারণ অকারণে তাঁদের মেয়েকে মারধর করত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কখনো বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিত। আবার কখনো মদ্যপ অবস্থায় অত্যাচার চালাত পাপুন। জুয়া ও লটারি খেলে উপার্জনের সব শেষ করে দিত। যা নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত।

এদিকে গত সোমবার কীটনাশক খাওয়ার ঘটনা ঘটলেও পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁদের খবর দেওয়া হয় ছেলে বাড়ি থেকে বলেই অভিযোগ।  খবর পেয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে এসে দেখেন তাঁদের মেয়ে মারা গিয়েছে। এই জায়গা থেকে তাঁদের অভিযোগ, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। যদিও খুন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযোগ ওঠা পরিবারের সদস্যরা। কোনও মারধর বা অত্যাচার করা হত না। তাঁদের নামে মিথ্যে বলা হচ্ছে।

এবিষয়ে মৃতার বাবা প্রশান্ত রায় ও আত্মীয় শংকর রায় জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ের ১ বছর ২ মাস আগে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। বিয়ের সময় টাকা পয়সা দিয়েছিলেন। তারপরও বাপের বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতেন মেয়েকে। আর টাকা না নিয়ে গেলে পরেই অত্যাচার চালানো হত তার উপর। তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এনিয়ে তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত শাশুড়ি বিন্দে বর্মণ জানিয়েছেন, তাঁদের নামে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে ৷ তাঁরা কেউ বউমার উপর অত্যাচার চালাননি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শ্বশুরবাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা হয়। তারপরই ইঁদুর মারা বিষ খায়। কিন্তু, বউমা প্রথমে কাউকে কিছু বলেনি। জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই জানানো হয়েছিল শ্বশুরবাড়ি সদস্যদের। মেয়ের মা এসে কথাও বলে যায়। তাঁদের নামে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।