Siliguri Municipal Election: প্রার্থী-বিক্ষোভের আঁচ এবার ছড়াল শিলিগুড়ির ৪০ নম্বর ওয়ার্ডেও, ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশে’ ধামাচাপা?
Agitation of TMC: জোড়াফুলের টিকিট পাননি বিদায়ী কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারী। তাঁর পরিবর্তে মুন্না প্রসাদকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার জেরেই শনিবার দলীয় নেতার অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা।
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি পৌরনিগমের (Siliguri Municipal Corporation Election 2022) প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভ চল্লিশ নম্বর ওয়ার্ডেও। সেখানে এবার জোড়াফুলের টিকিট পাননি বিদায়ী কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারী। তাঁর পরিবর্তে মুন্না প্রসাদকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার জেরেই শনিবার দলীয় নেতার অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা।
শিলিগুড়ি প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় বাড়ছে বিক্ষোভ
শিলিগুড়িতে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় বিক্ষোভ অব্যাহত। শুক্রবার দিনভর শিলিগুড়ির ভারত নগরে, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভ চলেছে। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থীকে পছন্দ না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা। শিলিগুড়ির ২৪ নম্বর প্রতুল চক্রবর্তীর বদলে বিকাশ সরকারকে প্রার্থী করার দাবি জানানো হয়েছে। সেই বিক্ষোভের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভ শুরু।
৪০ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের একাংশের দাবি, “এলাকায় দীর্ঘদিন কাজ করেছেন সত্যজিৎ অধিকারী। অথচ দল তাঁকে টিকিট না দিয়ে ‘বহিরাগত’ মুন্না প্রসাদকে প্রার্থী করেছে। আমরা ওই প্রার্থীকে মানছি না।”
‘গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর’ সাফাই তৃণমূলের
এই বিষয়ে তৃণমূলের পুর নেতৃত্বের তরফে দুলাল দত্ত বলেন, “আশা তো সবাই করতে পারে। আশা অনেকেরই থাকে, যোগ্যতাও অনেকের থাকে। একটি ওয়ার্ডে অনেকেরই যোগ্যতা থাকে। সেই জায়গা দল চিন্তা ভাবনা করে প্রার্থী করে। তাঁরা (বিক্ষোভকারীরা) তাঁদের দাবি জানিয়ে গেলেন। আমি জেলা নেতৃত্বকে জানাব। জেলা নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেবে।”
তবে দলে যে একের পর এক বিক্ষোভ তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করায় দুলাল বাবুর বক্তব্য, “আমাদের দলে যে সুস্থ গণতন্ত্রের পরিবেশ রয়েছে, এই বিক্ষোভ হচ্ছে তার প্রমাণ। যে কোনও কর্মী তাঁর দাবি গণতান্ত্রিক উপায়ে জানাতে পারেন। এটা অন্য কোনও দলে নেই। আমাদের দলে এই বিষয়টি আছে, কেউ প্রকাশ্যে দাবি করতে পারে আমাকে প্রার্থী করা হোক।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব যতই অন্তর্দ্বন্দ্ব চাপা দেওয়ার চেষ্টা করুক, বিক্ষোভ আঁচ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডেও অসন্তোষের আগুন জ্বলছে শাসকদলের অন্দরে। সেখানে বাম কাউন্সিলর শর্মিলা দাসকে তৃণমূলে যোগদান করানো হলেও প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম নেই। এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ নির্দল হিসাবে লড়াই করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলেই সূত্রের খবর। তবে দলের তরফে বলা হয়েছে, যোগ্যরাই প্রার্থী হয়েছেন। দলের শৃঙ্খলা না মানলে বা কেউ নির্দল হিসাবে লড়লে তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: Chandannagar Municipal Election: ‘লাল ফেরাও, হাল ফেরাও’, চন্দননগরে এ মন্ত্রেই ভোটের ময়দানে বামেরা