Babita Sarkar: ‘যুদ্ধে’ জয়ী হয়ে সাহস জোগাচ্ছেন, পুজোর উদ্বোধনে আমন্ত্রিত ‘লড়াকু’ ববিতা
Babita Sarkar: চাকরির দাবিতে আন্দোলন করেছেন তিনিও। পরে আইনি লড়াইতে জিতে, আজ তিনি শিক্ষিকা। চাকরি পাওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম পুজো।
শিলিগুড়ি : পুজোর আনন্দ কার্যত ম্লান হয়ে যাচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের ছবিতে। রাস্তায় সন্তান কোলে বসে রয়েছেন বহু মহিলা। নায্য চাকরির দাবি যতক্ষণ না পূরণ হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত একচুলও সরতে নারাজ তাঁরা। আইনি লড়াইতে জয়ী হয়ে ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার। এবার পুজো তাঁর কাছে অনেকটাই আলাদা। আর ববিতাকে সামনে রেখে লড়ছেন আরও অনেক চাকরি প্রার্থী। ববিতা যেন ববিতাই যেন আজ নারীশক্তির প্রতীক! তাই তিনি এবার আমন্ত্রণ পেলেন দুর্গা পূজার উদ্বোধনে।
আন্দোলনে ফল না পেয়ে আদালতের দরজায় গিয়ে বিচার পেয়েছেন ববিতা। অন্যায় ভাবে পাওয়া চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে। ববিতার এই লড়াই বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে আন্দোলনকারীদের। তাই শিলিগুড়ির একটি পূজা কমিটি এবার কোনও নেতা-বা মন্ত্রী নয়, আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ববিতাকে। নারীশক্তির প্রতীক হিসেবে ওই অনুষ্ঠানে ববিতাকে সম্মানও জানানো হবে। শিলিগুড়ির আদর্শ নগরের মহিলা শক্তি সংগঠনের পূজার সুচনা করবেন ববিতা। শনিবার অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন ববিতার হাত দিয়েই এই পূজার সুচনা হবে।
চাকরি পাওয়ার পর এটাই প্রথম পুজো ববিতার, আনন্দটাও অনেক বেশি। তবে আন্দোলন আর আন্দোলনকারীদের চোখের জল ভোলেননি তিনি। ববিতা আমন্ত্রণ পাওয়ার পর বলেন, ‘টানা আন্দোলন করেছিলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আদালতেও গিয়েছি। আমার চাকরি আমি পেয়েছি। কিন্তু এখনও আমার সহযোদ্ধারা রাস্তায় আছেন। পুজোর ক’দিন তাঁদের জন্য মন খারাপ থাকবে। একটা পূজা কমিটি আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। মহিলারা পুজো করছে। তাই না করতে পারিনি। তবে আমি সেলিব্রিটি নই। শুধু চাই, যাঁরা চাকরি পাওয়ার অধিকারী ছিলেন, সেই যোগ্য প্রার্থীরা যেন চাকরি পান।’
চাকরি পাওয়ার পর এটাই প্রথম পূজা। এবার মায়ের কাছে কী প্রার্থনা করবেন ববিতা? তিনি বলেন, ‘এটাই প্রার্থনা করব, আন্দোলনকারীদের শক্তি দাও। ওদের চাকরি হোক। চোখের জল মুছে ওরাও স্কুলে শিক্ষকতায় যেন দ্রুত যোগ দিতে পারে।’