Siliguri Robbers Arrested: মাস্টার কি দিয়ে দোকান খুলেই সাফ গহনা, শিলিগুড়িতে পুলিশের জালে বিহারের ‘চাবি আঙ্কল’
Siliguri: ভোররাতে লুঠপাট সেরে দোকানে আবার নতুন তালা লাগিয়ে দেয় গ্যাংটি।
শিলিগুড়ি: পকেট ভর্তি মাস্টার কি! আর তা দিয়েই তালা খুলে একের পর এক সোনার দোকানে চুরি করত বিহারের নুর মহম্মদ ওরফে চাবি আঙ্কল ও তাঁর গ্যাঙ। এদের ধরতে পুলিশকেও কম বেগ পেতে হয়নি। তবে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় কিন্তু সেই কয়দা চলল না। চুরি করে লুঠপাট চালালেও পরবর্তীতে নাকা তল্লাশিতে পুলিশের জালে পড়তে হল গ্যাঙের দুই সদস্যকে।
মাটিগাড়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার তুম্বাজোত এলাকায় এক দোকানে একই কায়দায় লুটপাঠ সারে ওই ডাকাতদল। ভোররাতে লুঠপাট সেরে দোকানে আবার নতুন তালা লাগিয়ে দেয় গ্যাংটি। উদ্দেশ্য ছিল, অন্তত দোকান খোলার আগে কেউ যেন এসব টের না পায়। এবার কাজ হাসিল করে এলাকায় নিজেদের ডেরায় ফিরছিল সকলে।
ভোরে পুলিশের রুটিন তল্লাশি চলাকালীন বিহারের ওই গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে জিঞ্জাসাবাদ করছিলেন এক পুলিশকর্মী। চালকের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁদের আস্তানায় যেতে চান ওই পুলিশ আধিকারিক। বাধ্য হয়েই নিজেদের ডেরার দিকে এগোন গ্যাঙের সদস্যরা। ডেরার কাছে এসেই লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালাতে চেষ্টা করেন সকলে। তিনজন পালাতে সক্ষম হলেও নুর মহহম্মদ খান ওরফে ‘চাবি আঙ্কল’ এবং চালক জাহিদ খানিকে ধরে ফেলে পুলিশ। পরে গাড়ি তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় বহু সোনার গহনা। এর পাশাপাশি উদ্ধার হয় কিছু ইমিটেশনের গহনা ও গাঁজা। পাশাপাশি একাধিক বিশাল বিশাল মাস্টার কি (চাবি) উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিঞ্জাসাবাদ চালানোর পাশাপাশি বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে এসিপি পূর্ণিমা শেরপা বলেন, “এই গ্যাঁ বিহারেও এইরকম অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। এর আগে দশ মাস মতো জেলে ছিল নুর মহহম্মদ খান। আমরা তদন্ত চালিয়ে দেখছি সোনা পাচারের পাশাপাশি ওরা গাঁজা পাচারও করে কিনা।”