Siliguri: ‘ইভিএম না দেখিয়েই বলল আমি হেরেছি’, পুনর্গণনার দাবিতে ধরনা বিজেপি প্রার্থী, যোগ বিধায়কের
Siliguri: বিডিও জানান ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কুমুদিনি বরাইক জয়ী হয়েছেন। এজেন্টদের দেখিয়েই ভোট গণনা হয়েছিল। প্রায় সাড়ে সাত হাজার ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী।
শিলিগুড়ি: তৃণমূল ( Trinamool Congress) প্রার্থী হারতেই চলেছিল গুলি। এবার শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়াতে ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহাকুমা পরিষদের ৭ নম্বর আসনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ছড়াল উত্তেজনা। সূত্রের খবর,ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী রেনু রায় যাদবের অভিযোগ, ভোট গণনা চলাকালে ৮ নম্বর রাউন্ডে ইভিএমে প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়নি। তাঁর আগেই জানিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি প্রার্থী পরাজিত। তাঁর আরও দাবি, এ নিয়ে বিডিওকে অভিযোগ জানালেও তিনি অভিযোগ মানতে চাননি।
ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ”গণনায় কারচুপি হয়ে থাকতে পারে। সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হোক। আমাদের এজেন্টদের ইভিএম দেখানো হয়েছে কিনা তা ওই ফুটেজ দেখলেই স্পষ্ট হবে৷” এ নিয়ে সন্ধ্যায় গণনাকেন্দ্রে ধরনা শুরু করেন ওই বিজেপি প্রার্থী ও এজেন্টরা। পরবর্তীতে ধরনায় বসতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপির জেলা সভাপতি আনন্দ বর্মনকে। আনন্দ বলেন, “৮ নাম্বার রাউন্ডের ফলাফল রিকাউন্ট করা হোক। আমাদের প্রার্থী ও এজেন্টদের কেন ফল দেখতে দেওয়া হল না?”
যদিও, বিডিও জানান ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কুমুদিনি বরাইক জয়ী হয়েছেন। এজেন্টদের দেখিয়েই ভোট গণনা হয়েছিল। প্রায় সাড়ে সাত হাজার ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী। সমস্ত গণনাপর্ব শেষ হতেই তাঁকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে মন্তব্য করতে চান নি বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী কুমুদিনি বরাইক। প্রসঙ্গত, অন্যদিকে আবার তৃণমুল প্রার্থীর পরাজয়ের পর ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নিকরগছ এলাকায় শূন্যে দু রাউন্ড গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনা ঘিরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। এবার ওই আসনে তৃণমূলের টিকিট পান নুর আলম। যদিও টিকিটের দাবিদার ছিলেন মহম্মদ খনিজুদ্দিন। টিকিট না মেলায় নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করে ভোটে জেতেন তিনি। জেতেন তিনিই।