COVID Death In Siliguri: হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, রাজ্যে ফের করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু
COVID Death In Siliguri: এবার ফের এক আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়িতে। তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ব্যক্তি কার্শিয়াঙের চুনাভাটির বাসিন্দা।
শিলিগুড়ি: ফের কোভিডে মৃত্যু শিলিগুড়িতে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩। সাধারণ মানুষকে সতর্কবার্তা চিকিৎসকদের। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে কোভিড পজিটিভ এক রোগীর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা যাচ্ছে, তৃতীয় ঢেউয়ের পর বহু দিন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে রোগী মৃত্যু তথ্য সামনে আসেনি। এবার ফের এক আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়িতে। তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ব্যক্তি কার্শিয়াঙের চুনাভাটির বাসিন্দা।
তবে শিলিগুড়িতে কোভিডে দৈনিক সংক্রমণের হারও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাতে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সামাজিক দূরত্ব আরও বেশি করে মানার পরামর্শ দিয়েছেন।
পাহাড় ও সমতলে নির্বাচনে জন সমাগমে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চিকিৎসক রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন, “নতুন করে কেস সামনে আসছে। মানুষ সতর্ক না হলে ফের আগের পরিস্থিতি ফিরতে পারে৷ সকলের কাছে আবেদন, বুস্টার ডোজ় নিন। অপ্রয়োজনে বের হবেন না। মাস্ক পরুন।”
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, “ফের এক রোগীর শ্বাসকষ্ট ও সেপসিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তিনি কোভিড আক্রান্ত ছিলেন।” তিনি আরো বলেন, “নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে সাধারণ মানুষের নতুন করে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে।” তিনি স্বীকার করে নেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল যেখানে প্রতিদিন আড়াই হাজার নমুনা পরীক্ষা সম্ভব, সেখানে প্রতিদিন মাত্র ১০০ নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। কারণ জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা নমুনা দিচ্ছেন না। এ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর ওপরে জোর দেন তিনি।
গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী । বৃহস্পতিবারের দৈনিক আক্রান্তেরসংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে শুক্রবারের আক্রান্তের গ্রাফ। বর্তমানে গোটা রাজ্যে মৃত্যুহার দাঁড়িয়েছে ১.০৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত, গোটা রাজ্যে ২১ হাজার ২১৯ জন মারা গিয়েছে করোনা সংক্রমণের জেরে। অন্যদিকে এদিন দিনভর ১১ হাজার ৮১১ জনের নমুণা পরীক্ষা হয় গোটা রাজ্যে। সারাদিনের পজেটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ১৪.৭২ শতাংশ। সেখানে সামগ্রিক সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৮.৫৫ শতাংশ।