Darjeeling Snowfall: মরশুমের প্রথম তুষারপাত! সাদা বরফের চাদরে মুড়ল দার্জিলিং, পোয়া বারো পর্যটকদের
Darjeeling Winter: অবশেষে বৃষ্টি নামতেই ফ্রেশ স্নো-ফল। মরশুমের প্রথম তুষারপাতেই বরফের চাদরে ঢেকেছে সান্দাকফু। পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে পর্যটকদের এখন সোনায় সোহাগা। এমন সুযোগ কি আর রোজ রোজ আসে! শীতের আমেজ গায়ে মেঘে ফ্রেশ স্নো-ফল উপভোগ করতে এখন অনেকেই তাই ল্যান্ড রোভারে চেপে ছুটছেন সান্দাকফুর দিকে।
দার্জিলিং: সকাল থেকে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। গোটা দিন মেঘলা। দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম। দশ হাত দূরে কী আছে, তাও ঢাকা পড়ে গিয়েছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায়। দার্জিলিং শহর ও আশপাশের এলাকায় দিনভর মেঘলা আকাশ, সারাদিনে বেশ কয়েক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে পাহাড়ে। বৃষ্টি নেমেছে সান্দাকফুতেও। ঘন মেঘের চাদরে মুড়েছে সিঙ্গলিলার জঙ্গল। আর বৃষ্টি নামতেই মরশুমের প্রথম তুষারপাত পাহাড়ে। সাদা বরফের আস্তারণে ঢেকে গিয়েছে সান্দাকফু-ফালুট সহ সিঙ্গলিলা রেঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গত কয়েকদিন ধরেই তুষারপাতের অনুকুল পরিবেশ তৈরি হচ্ছিল। অবশেষে বৃষ্টি নামতেই ফ্রেশ স্নো-ফল।
মরশুমের প্রথম তুষারপাতেই বরফের চাদরে ঢেকেছে সান্দাকফু। পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে পর্যটকদের এখন সোনায় সোহাগা। এমন সুযোগ কি আর রোজ রোজ আসে! শীতের আমেজ গায়ে মেঘে ফ্রেশ স্নো-ফল উপভোগ করতে এখন অনেকেই তাই ল্যান্ড রোভারে চেপে ছুটছেন সান্দাকফুর দিকে।
সাধারণত মাঝ ডিসেম্বরের দিকে পাহাড়ে তুষারপাত হতে শুরু করে। তবে এবার বৃষ্টিপাতের কারণে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই পাহাড়ে তুষারপাতের অনুকুল পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। বাঙালির কাছে অন্যতম পছন্দের ঘুরতে যাওয়ার ডেস্টিনেশন হল দার্জিলিং। সারা বছর পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। শুধু দার্জিলিং শহর নয়, আশপাশের বিভিন্ন জায়গা যেমন লেপচাজগৎ, সিটং, সান্দাকফু, ফালুটেও প্রচুর পর্যটক ভিড় জমান।
আজ বৃষ্টি নামতেই সান্দাকফু, ফালুট ও আশপাশের এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। ট্রেকারদের স্বর্গরাজ্য সান্দাকফু-ফালুট। সান্দাকফু থেকে একশো আশি ডিগ্রিতে দেখা যায় বিশ্বের সর্বোচ্চ পাঁচ শৃঙ্গের মধ্যে চারটি। কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ গোটা স্লিপিং বুদ্ধা রেঞ্জ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে গোটা ট্রেক রুটে। আর সান্দাকফু পর্যন্ত পৌঁছলেই আকাশ পরিষ্কার থাকলে দেখা মিলে যায় এভারেস্ট, লোথসে, মাকালুর।