Siliguri: বড় পদ দিয়ে বহিষ্কৃত নেতাকে আবারও দলে ফেরাল তৃণমূল
Siliguri: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচনের সময়কালে নির্দল প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা আখতার আলি। তাঁকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল দলের তরফে।
শিলিগুড়ি: একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় দলত্যাগীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে কোনও গদ্দারদের জায়গা দেওয়া হবে না বলেই সেই সময় জানিয়েছিলেন তিনি। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের যেন উলটপুরাণ। গত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে লড়ে বহিষ্কৃত হওয়া যুবনেতা আখতার আলিকে পুনরায় ফিরিয়ে নিল ঘাসফুল। শুধু তাই নয়, দেওয়া হল ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতির পদও।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচনের সময়কালে নির্দল প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা আখতার আলি। তাঁকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল দলের তরফে। ভোট চলাকালীন এই আখতারের সঙ্গে একাধিকবার গণ্ডগোলে জড়ায় তৃণমূল। তবে ভোট পর্ব মিটতেই এবার ফের দলে জায়গা পেলেন আখতার আলি। শুধু দলে ফেরানোই হল না। দেওয়া হল পদও। এ নিয়ে দলের অন্দরমহলে শোরগোল শুরু হলেও জেলা সভাপতির সাফ বক্তব্য, দলের শীর্ষ নেতৃত্বর সিদ্ধান্ত মেনেই পথ চলব সকলেই। এ বিষয়ে আখতার জানান, ‘দলের বিরুদ্ধে কোনও দিন ছিলাম না। প্রার্থী চয়ন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তা বর্তমানে মিটে গিয়েছে।’
দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের ব্লক সংগঠনে বিস্তর রদবদল হল। এই রদবদল পর্বেই দার্জিলিং জেলার (সমতল) ফাঁসিদেওয়া-১ এর ব্লক সভাপতি হিসেবে নাম প্রকাশ্যে এসেছে আখতার আলির। দলীয় সূত্রে খবর, শীর্ষ নেতৃত্বর নির্দেশ মোতাবেক শনিবার তাঁকে দলে যোগ দেওয়ানো হয়। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী।
এ দিকে, আখতার আলিকে ফিরিয়ে নেওয়ায় তৃণমূলেরই একাংশ নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।যদিও, সেই আপত্তিকে উপেক্ষা করেই রাজ্য নেতৃত্ব ব্লক সভাপতির পদ দিয়ে দলে ফেরালো ঘাসফুল শিবির। আখতার পদ পেতেই আবির খেলায় মেতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তৃণমূল সমর্থকরা। উল্লেখ্য, মহকুমা ফাঁসিদেওয়া আসনে দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন আখতার। যদিও, ওই আসনে আইনুল হকের কাছে পরাজিত হন তিনি। এরপর শনিবার শিলিগুড়ির শহর ও গ্রামীণ এলাকায় শাসকদলের একাধিক পদে রদবদল করে রাজ্য নেতৃত্ব। তখনই ফাঁসিদেওয়ায় ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতির পদ দেওয়া হয়।