Siliguri: আরজি কর আবহে শিলিগুড়িতে যুবতীর রহস্যমৃত্যু, ‘আত্মহত্যার’ কথা মানতে নারাজ পরিবার
Siliguri: শিলিগুড়িতে রহস্যমৃত্যু যুবতীর। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই দরজা ভেঙে ওরা উদ্ধার করল দেহ। যুবতীর ফোন থেকে গভীর রাতে পরিবারকে ফোন অপরিচিতদের। আত্মহত্যার কথা মানতে নারাজ যুবতীর পরিবারের লোকজন।
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে এক যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য। বছর চব্বিশের ওই যুবতির বাড়ি কালচিনি। শিলিগুড়িতে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সোমবার রাত সাড়ে ন’টা অবধি পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে নানা গল্প করেন তিনি। এরপর রাত এগারোটা নাগাদ ওই যুবতীর মোবাইল থেকেই পরিবারের কাছে ফোন করেন এক ব্যক্তি। তিনি জানান হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবতি।
খবর পাওয়া মাত্রই কালচিনি থেকে দ্রুত শিলিগুড়ি আসে পরিবার। কিন্তু অভিযোগ, এদিন দুপুর অবধি দেহই দেখতে দেখতে দেওয়া হয়নি যুবতীর মা-বাবাকে। যুবতীর মা বলেন, আমাদের সঙ্গে গতকাল গল্প করছিল মেয়ে। মাত্র দেড় ঘণ্টায় কী হল? মেয়ে হাতের শিরা কেটে নিয়েছে জানানো হয়। এসে দেখছি হাতে চোটের চিহ্ন নেই। ঝুলন্ত অবস্থায় নাকি তাকে উদ্ধার করা হয়।” তাঁদের বিস্ফোরক অভিযোগ, অত্যাচার করেই খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। শারীরিক নির্যাতন হয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। গুরুতর অভিযোগ করেছেন যে ব্যক্তি ফোন করে মৃত্যুর কথা বলেন তাঁর বিরুদ্ধে।
যুবতীর মা বলছেন, “ওই ব্যক্তি আমার মেয়েকে জ্বালাতন করতো। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। গতকাল তিনি ও তার ভাই আমার মেয়ের ঘরে কী করছিল? ওদের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। আমার মেয়েকে শারিরীক অত্যাচার করা হয়ে থাকতে পারে।” পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল না। আম্বুলেন্স চালক আমাদের বলেছেন বিছানায় আধাবসা ছিল দেহ। ওই ব্যক্তি সেখানে কি করছিল? এদিকে পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়েন। তারপর পুলিশ গিয়ে পৌছায়। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে পরিষ্কার হবে মৃত্যুর আসল কারণ।