North Bengal Medical College: ‘চেয়েছিলাম ৮০ লক্ষ টাকা, পেয়েছি ৫ লক্ষ’, হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন সুপার
North Bengal Medical College: উল্লেখ্য, প্রায় ১০৪ একর জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নানা বিভাগ। সেখানে এমার্জেন্সিতে চিকিৎসার প্রয়োজনে আসেন বিভিন্ন রোগী। অভিযোগ, রাত্রিবেলা ডিউটি আসেন না পুলিশ কর্মীরা।
শিলিগুড়ি: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। অভিযোগ উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। তবে একা আরজি কর নয়, একই অভিযোগ উঠেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকেও। নেই পর্যাপ্ত সিসিটিভি থেকে নিরাপত্তা রক্ষী। রাতের ডিউটিতে পুলিশ কর্মীদেরও সব সময় দেখা যায় না বলে অভিযোগ। এই নিয়ে চলছে আন্দোলন। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মিছিলে সামিল হয়েছেন মেডিকেলের সুপার সঞ্জয় মল্লিকও। সিসিটিভি লাগাতে সরকারের দাবি করা হয়েছিল ৮০ লক্ষ টাকা। তবে মিলেছে নাকি মাত্র ৫ লক্ষ। এরপরই নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ সুপার।
আজ ফের আউটডোরে সিজ ওয়ার্কে জুনিয়ার পিজিটিরা। বন্ধ শিডিউল্ড ওটিও। দুপুরে মিছিল শুরু করেন সকলে। আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মিছিলে হাজির ছিলেন সুপার সঞ্জয় মল্লিক। স্পষ্ট বলেন, “নিরাপত্তা নেই। বারবার বলছি। ফের আরেকটা ঘটনা ঘটতে পারে। সর্বত্র ক্যামেরা লাগাতে লাগবে ৮০ লক্ষ টাকা। সরকারের তরফে পেয়েছি মাত্র ৫ লক্ষ টাকা।” তিনি এও বলেছেন, “এই সিকিউরিটি নিয়ে আমরা বহুবার বহু কথা বলেছি। এই ক্যাম্পাসের যা অবস্থা সেই নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। প্রতি রাতে এসি তার চুরি হয়ে যাচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের কী নিরাপত্তা আছে? এত বড় ক্যাম্পাস। সেটা যদি সুরক্ষিত না থাকে আরজি করের মতো ঘটনা শুধু সময়ের অপেক্ষা।” মিছিলে হাজির জুনিয়ার চিকিৎসকেরা বলেন, “রাতের নিরাপত্তা নিয়ে হুঁশ ফেরেনি সরকারের। আমরা নিজেদের নিরাপত্তা ও তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
উল্লেখ্য, প্রায় ১০৪ একর জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নানা বিভাগ। সেখানে এমার্জেন্সিতে চিকিৎসার প্রয়োজনে আসেন বিভিন্ন রোগী। অভিযোগ, রাত্রিবেলা ডিউটি আসেন না পুলিশ কর্মীরা। কোনও গন্ডগোল বাধলে তবেই আসেন তারা। মাঝে-মধ্যে আসে টহলদারি ভ্যান। এমার্জেন্সি থেকে একটু এগিয়ে গেলে একাধিক ওয়ার্ড রয়েছে। এরপর চারটি লেডিস হস্টেল। গভীর রাতেও খোলা থাকে হস্টেলের গেট। হস্টেলের প্রবেশ পথে রয়েছে একটি করে ক্যামেরা। এরপরই মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা বাড়াতে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরার দাবি করা হয়।