Samanden: ভোট দিতে আর দেড় ঘণ্টা পথ নয়, এবার নিজের গ্রামেই ‘গণতন্ত্রের উৎসব’ সামানদেনে

Samanden: সামানদেন এবং গোর্খা বন বস্তি - এই দুই গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ৬৬ পরিবারের বাস। সামানদেন থেকে আগে রাম্মামের যে বুথে ভোট দিতে যেতে হত, সেখানে পায়ে হেঁটে যেতে সময় লেগে যেতে দেড় ঘণ্টা।

Samanden: ভোট দিতে আর দেড় ঘণ্টা পথ নয়, এবার নিজের গ্রামেই 'গণতন্ত্রের উৎসব' সামানদেনে
সামানদেন গ্রাম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2022 | 5:00 PM

দার্জিলিং : সামানদেন। যাঁরা পাহাড়কে ভালবেসে বার বার ছুটে যান, তাঁদের কাছে জায়গাটা একেবারে অপরিচিত নয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭,৫৯০ ফুট (২,৩১৩ মিটার) উঁচুতে। পশ্চিমবঙ্গ তখা ভারতের শেষ সীমানায় ছোট্ট একটা গ্রাম সামানদেন (Samanden)। শৃঙ্গলীলার জঙ্গলে ঘেরা এই গ্রামটির চারিদিকে এক মায়াবী পরিবেশ। এতদিন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য সামানদেন থেকে যেত হত রাম্মামে। সেখানে ২৩/ ৩ নম্বর বুথে ভোট দিতেন তাঁরা। শুধু সামানদেন গ্রামটিই নয়, গোর্খা বন বস্তিও বাসিন্দাদেরও যেতে হত ওই বুথে। কিন্তু এবার জিটিএ নির্বাচনে (GTA Election) আর রাম্মামে গিয়ে ভোট দিতে হচ্ছে না তাঁদের। নিজেদের গ্রামেই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন সামানদেন এবং গোর্খা বন বস্তি (Gorkha Ban Basti) গ্রামের বাসিন্দারা।

সামানদেন এবং গোর্খা বন বস্তি – এই দুই গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ৬৬ পরিবারের বাস। সামানদেন থেকে আগে রাম্মামের যে বুথে ভোট দিতে যেতে হত, সেখানে পায়ে হেঁটে যেতে সময় লেগে যেতে দেড় ঘণ্টা। কিন্তু এখন থেকে আর সেই সমস্যায় পড়তে হবে না গ্রামবাসীদের। এবার থেকে নিজেদের গ্রামেই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন এঁরা। স্বাভাবিকভাবেই এই সুবিধা পাওয়ায় অনেকটাই খুশি গ্রামবাসীরা।

দার্জিলিং জেলার প্রকৃতির কোলে এক সুন্দর হ্যামলেট সামানদেন। ঘন অরণ্যে ঘেরা এক ছোট্ট গ্রাম। যাতায়াতের জন্য যানবাহন চলাচল করতে পারে, এমন কোনও রাস্তা নেই এখানে। পায়ে হেঁটে ‘ট্রেক’ পথই এখানে একমাত্র উপায়। পাহাড়ের অপরূপ শোভা উপভোগ করতে যাঁরা ট্রেকিং-এ যান, তাঁদের কাছে অন্যতম পছন্দের জায়গা এটি। আধুনিক বিশ্ব থেকে অনেকটাই দূরে এই গ্রাম। সামানদেন থেকে পায়ে হেঁটে ফালুট, রাম্মাম, শ্রীখোলা কিংবা সিকিমের রিবড়ি গ্রাম পর্যন্ত যেতে হয় গ্রামবাসীদের। তারপর সেখান থেকে গাড়ি চড়ে যেতে হয় গন্তব্যে। গোর্খে থেকে তাহলে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম। এখন থেকে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হতে আর দেড় ঘণ্টার রাস্তা অতিক্রম নয়, নিজের গ্রামেই হবে ভোট।