Darjeeling Hills: পাহাড়ে কি চাকরির নামে ‘নকল’ TET পরীক্ষা? RTI-র জবাবে বাড়ছে বিতর্ক

Darjeeling Hills: ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাহাড়ে জিটিএ-ভুক্ত এলাকায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল এখনও প্রকাশ হয়নি বলে অভিযোগ। আর এই নিয়েই নতুন করে জলঘোলা হতে শুরু করে দিয়েছে। কারণ, জিটিএ-র বর্তমান বোর্ড দাবি করছে, তারা কোনও পরীক্ষা নেয়নি। এদিকে বিরোধীদের দাবি, পাহাড়ে ওই পরীক্ষার দায় এড়াচ্ছে রাজ্য সরকারও।

Darjeeling Hills: পাহাড়ে কি চাকরির নামে 'নকল' TET পরীক্ষা? RTI-র জবাবে বাড়ছে বিতর্ক
আজ টেট। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2023 | 10:41 PM

দার্জিলিং: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে নয়া বিতর্ক। এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু পাহাড়। অভিযোগ উঠছে, টেট পরীক্ষার মতো করে নকল পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে পাহাড়ে। আর এই নিয়েই এখন তোলপাড় হচ্ছে পাহাড়ের রাজনীতি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাহাড়ে জিটিএ-ভুক্ত এলাকায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল এখনও প্রকাশ হয়নি বলে অভিযোগ। আর এই নিয়েই নতুন করে জলঘোলা হতে শুরু করে দিয়েছে। কারণ, জিটিএ-র বর্তমান বোর্ড দাবি করছে, তারা কোনও পরীক্ষা নেয়নি। এদিকে বিরোধীদের দাবি, পাহাড়ে ওই পরীক্ষার দায় এড়াচ্ছে রাজ্য সরকারও। আর এই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

পাহাড়ে জিটিএ অন্তর্ভুক্ত এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ওই পরীক্ষায় প্রচুর পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি পরীক্ষার্থী ফি জমা দিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে এই বিপুল পরিমাণ ফি কোথায় গেল? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলছে বিরোধী দলগুলি। বিষয়টি সিবিআই ও রাজ্যপালের নজরে আনতে চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছে বিজেপি।

পাহাড়ের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের এই পরীক্ষা ঘিরে জটিলতার মধ্যেই আরটিআই করা হয়েছিল। বিরোধীদের দাবি, আরটিআই-এর জবাবে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এমন কোনও পরীক্ষাই নাকি হয়নি।

শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও জিটিএ উভয় ক্ষেত্রেই অস্বীকার করেছে পর্ষদের তরফে এই ধরনের কোনও টেট পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এত বড় মাপের দুর্নীতি পাহাড়ে ঘটেছে? সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার। তাহলে এই পরীক্ষার ফি বাবদ যাঁরা অসৎ উপায়ে অর্থ লুঠ করেছে, তাদের প্রত্যেকের নাম তদন্তের মধ্যে দিয়ে সামনে আসবে।”

জিটিএ-র ডেপুটি চেয়ারম্যান রাজেশ চৌহান জানাচ্ছেন,   “টেট যখন হয়েছিল, আমরা তো ছিলাম না। গত এক বছরের ভিতরে তো কোনও টেট পরীক্ষা হয়নি। আগে কী হয়েছে, সেটা জানতে হবে।”

এদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেও এই বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যদিও তিনি এই নিয়ে কিছু বলতে চাননি। প্রশ্ন করায় উত্তর দিলেন, ‘এটা বলতে পারব না।’

সূত্রের খবর, জিটিএ অন্তর্ভুক্ত এলাকায় পাহাড়ে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্ব জিটিএ’র উপরেই। কিন্তু নিয়োগের ক্ষেত্রে, ব্যাপারটি ততটা সহজ নয়। কাউকে চাকরি দেওয়ার সুযোগ জিটিএ-র একার হাতে নেই। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার গঠিত বোর্ডই শেষ কথা। সেই বোর্ডের নেওয়ার কথা এই ধরনের পরীক্ষা। কিন্তু সূত্রের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে এমন কোনও বোর্ড তৈরি হয়নি। তাহলে এই পরীক্ষা নিল কারা? সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে পাহাড়ে।