Weather Update: তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দার্জিলিং, ৪২ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই বাগডোগরায়

Heat Wave: বাগডোগরার তাপমাত্রাও চল্লিশের উপর দিয়ে যাচ্ছে। বুধবার বাগডোগরায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

Weather Update: তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দার্জিলিং, ৪২ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই বাগডোগরায়
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2023 | 8:01 PM

দার্জিলিং: গরমে নাজেহাল গোটা বাংলা (Weather Update)। নিস্তার নেই উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং (Darjeeling) জেলাতেও তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে। হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। এমন অবস্থায় যে পাহাড়ি জেলায় ঘুরতে গিয়ে কিছুটা গরম থেকে রেহাই পাবেন, তেমন অবস্থাও নেই। বাগডোগরার তাপমাত্রাও চল্লিশের উপর দিয়ে যাচ্ছে। বুধবার বাগডোগরায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। উত্তরবঙ্গে গিয়েও যে বিশেষ রেহাই মিলবে না গরম থেকে, তা দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি শহরের সঙ্গে বাগডোগরার তাপমাত্রার তুলনা করলেই বোঝা যাবে। এই যেমন আজ রাজ্যের উষ্ণতম শহর ছিল পুরুলিয়া। তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়ায় যেমন গরমে নাজেহাল অবস্থা, একইরকম হাঁসফাঁস অবস্থা বাগডোগরাতেও।

রাজ্যের কোথায় কত তাপমাত্রা?

অর্থাৎ, উত্তরের জেলা হোক, বা পশ্চিমের জেলা কিংবা শহর কলকাতা, সর্বত্রই গরমে নাজেহাল অবস্থা। কলকাতাতেও গরমে পুড়ছে শহরবাসী। আলিপুরে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দমদমে ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনও এই ধরনের পরিস্থিতি চলবে। তবে সপ্তাহান্ত থেকে আবহাওয়ার কিছুটা বদল হতে পারে। বাংলায় রবিবার থেকে প্রাকবর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টি নামতে পারে রবিবার। একইসঙ্গে বাগডোগরা-সহ দার্জিলিং জেলাতেও গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি থেকে নিস্তার মিলতে পারে রবিবার। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং-সহ উত্তরের পাঁচ জেলায়। তবে শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের ১৩টি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে অল্পবিস্তর বৃষ্টি হলেও, তাতে গরম খুব একটা কমবে না।

এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে শনিবারের পর থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে কবে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।