C V Ananda Bose: কী কী গো ব্যাক হওয়া দরকার? পড়ুয়াদের স্লোগান নিয়ে বৈঠকে বললেন রাজ্যপাল
Vice Chancellors Meeting: সূত্রের খবর রাজ্যপাল তথা আচার্য এদিন উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, 'অবশ্যই গো ব্যাক, দুর্নীতি গো ব্যাক। অযথা হস্তক্ষেপ গো ব্যাক। বিশ্ববিদ্যালয়কে বাধা দেয়, এমন সবকিছু গো ব্যাক।'
শিলিগুড়ি: রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে (C V Ananda Bose) আজ কালো পতাকা দেখানো হয়। তাঁকে উদ্দেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগানও তুলেছে পড়ুয়াদের একাংশ। আজ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যপাল। তখন ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় একদল পড়ুয়া এই কাণ্ড ঘটায়। আজ উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকেও সেই গো ব্যাক স্লোগানের প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর রাজ্যপাল তথা আচার্য এদিন উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, ‘অবশ্যই গো ব্যাক, দুর্নীতি গো ব্যাক। অযথা হস্তক্ষেপ গো ব্যাক। বিশ্ববিদ্যালয়কে বাধা দেয়, এমন সবকিছু গো ব্যাক।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাতের জট বহুদূর গড়িয়েছে। আজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চও এক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে কার্যত রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের উপরেই সিলমোহর দিয়েছে। নিযুক্ত হওয়া অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আর এদিকে আজ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে এক বৈঠকে বসেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই বৈঠকের আগেই রাজ্যপালকে ঘিরে এমন স্লোগান তুলতে দেখা যায় পড়ুয়াদের একাংশকে। হাতে প্ল্যাকার্ড। সেগুলির কোনওটিতে তুলে ধরা হয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের বিরোধিতা। আবার কোনওটিতে রয়েছে নয়া শিক্ষানীতির বিরোধিতা।
প্রসঙ্গত,আজ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উঠে আসে। তার মধ্যে অন্যতম হল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য একটি নীল নকশা তৈরি করা। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জন্য একটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম তৈরি করার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে আলোচনায়। গবেষক ও অধ্যাপকদের সঙ্গে যাতে ইনসেনটিভের ব্যবস্থা করা হয়, সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। জোর দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের সামগ্রিক বিকাশের দিকেও। বিশ্বের বিভিন্ন নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করার মতো বিষয়ও উঠে এসেছে আলোচনায়। বাংলার শিক্ষার সামগ্রিক বিকাশের জন্য যাতে সব উপাচার্যরা মিলিতভাবে কাজ করেন, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।