Recruitment Scam: চিরকুটে নাম চালাচালি করতেন মানিক, শিলিগুড়িতে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধীদের

TET Scam: সোমবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার ইডির হাতে গ্রেফতার হন মানিক।

Recruitment Scam: চিরকুটে নাম চালাচালি করতেন মানিক, শিলিগুড়িতে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধীদের
মানিক ভট্টাচার্য।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2022 | 2:59 PM

শিলিগুড়ি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবারই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে ইডির। সেসব অভিযোগের তদন্ত তো চলছেই। এরইমধ্যে উত্তরবঙ্গেও মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল। বিরোধীদের অভিযোগ, ২০১২ ও ২০১৪ সালে টেটের আগে শিলিগুড়িতে একাধিকবার মানিক ভট্টাচার্য যান। তাদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, সে সময় চিরকুটে বেশ কিছু নাম দিয়ে যান তিনি। গোটা প্রক্রিয়াটাই মানিক ভট্টাচার্য নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও বিরোধীদের অভিযোগ। একইসঙ্গে অভিযোগ, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কারা থাকবেন তাও ঠিক করতেন মানিক।

শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিস। যেখানে বিভিন্ন সময় টেট-পর্ব চলাকালীন মানিক ভট্টাচার্য এসেছেন বলে সূত্রের খবর। বিরোধীদের অভিযোগ, নিয়োগের পরীক্ষার সময় একাধিকবার এসেছেন মানিক। সেখানে নাকি চিরকুটের মাধ্যমে কিছু নাম দিয়ে যেতেন। কারা পরীক্ষা নেবেন, কারা পরিদর্শক হিসাবে পরীক্ষাকক্ষে থাকবেন সবই নিয়ন্ত্রণ করতেন মানিকরা। সংসদের একজন চেয়ারম্যান ছিলেন বটে, তবে তা খাতায় কলমে বলেই দাবি বিরোধীদের।

বাম নেতা পার্থ মৈত্রের দাবি, শিক্ষার সিন্ডিকেটের কারিগর ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। আগেই ঠিক করা থাকত কারা চাকরি পাবেন। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পান বহু শাসক ঘনিষ্ঠ। কত টাকার বিনিময়ে তিনি এসব করতেন তার তদন্তে উত্তরেও জাল ছড়াক ইডি। শিলিগুড়ি, আলিপুর, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে বারংবার এসে তিনিই সব চূড়ান্ত করতেন।

বিজেপির জেলা সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, সাদা খাতায় অনেকেই চাকরি পেয়েছেন শুনেছি। এর নেপথ্য কারিগর মানিকবাবুই। উত্তরের সব জেলায় তিনি জাল বিছিয়েছিলেন। সঠিক পথে তদন্ত হলে এমন বহু মানিক গ্রেফতার হবেন।

একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা, যোগ্যদের রাস্তায় বসিয়ে রেখে টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের সরকারি চাকরি দিয়েছে এই সরকার। তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেছেন মানিক ভট্টাচার্য কিংবা সুবীরেশ ভট্টাচার্যরা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, দলের গাইডলাইন স্পষ্ট। কেউ দুর্নীতি করলে তাকে দল আড়াল করবে না। কিন্তু ইডি, সিবিআই এর ভূমিকাও স্পষ্ট নয়। আর বিরোধীদের অভিযোগ অবান্তর। চিরকুটে বাম আমলে চাকরি হত। তৃণমূলের আমলে হয় না।