Siliguri: বাম বোর্ডের জমানায় Group C নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন, শিলিগুড়ি পুরনিগমও এবার CBI স্ক্যানারে?
বাম নেতাদের দাবি, নির্দেশ কার্যকর করতে বাধ্য হয় বামফ্রন্ট পরিচালিত পুরবোর্ড। চাকরি পাওয়া ১৭ জন মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বাসিন্দা।
শিলিগুড়ি: পুরনিয়োগে দুর্নীতির শিকড় খোঁজার দায়িত্ব সিবিআইকে (CBI) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অয়ন শীলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে প্রশ্নের মুখে বহু পুরসভার নিয়োগ। তালিকায় রয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমে পাঁচ বছর আগে হওয়া গ্রুপ সি নিয়োগও। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এবার শিলিগুড়ির দুয়ারে সিবিআই? শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতির গন্ধ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশির সময় ইডি এ সংক্রান্ত বহু নথি উদ্ধার করে। এবার পুরনিয়োগও সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায়।
শিলিগুড়ি পুরনিগমে ২০১৮ সালে গ্রুপ সি পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার কি তাহলে পাঁচ বছর আগের ফাইল খোলার পালা সিবিআইয়ের? অভিযোগ, ২০১৮ সালে ক্ষমতাসীন বাম বোর্ডকে এড়িয়ে গ্রুপ সি পদে ১৮ জনের নিয়োগের সুপারিশ করে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন। বাম নেতাদের দাবি, নির্দেশ কার্যকর করতে বাধ্য হয় বামফ্রন্ট পরিচালিত পুরবোর্ড। চাকরি পাওয়া ১৭ জন মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বাসিন্দা।
উত্তরবঙ্গ-সহ বিভিন্ন জেলার ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিলেও কীভাবে শুধু এই তিন জেলার ছেলে মেয়ে চাকরি পেলেন তা খতিয়ে দেখতে চায় তদন্তকারীরা। শিলিগুড়ির সিপিএম কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম বলেন, “কমিশন যা সুপারিশ করেছিল, কর্পোরেশন বাধ্য ছিল সেটাকে বাস্তবায়িত করতে। যদি কোনও অসঙ্গতি, অন্যায়, কোনও বেআইনি কাজ হয়ে থাকে বলব শিলিগুড়িতেও সিবিআই তদন্ত হোক।”
অন্যদিকে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের কথায়, “এই জেলার ছেলে মেয়েদের চাকরি হলে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অন্য জেলা থেকে এনে এই চাকরি দেওয়ার প্রথা তৃণমূল তৈরি করেছে, সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার।”
যদিও পুরনিগমে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলছে। মেয়র গৌতম দেব বলেন, “এই সংস্থাগুলির যে ডিগনিটি ছিল, সেটার এত রাজনীতিকরণ হচ্ছে যে, তারা কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করলেও, তদন্তের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা থাকছে না।”