Civic Volunteer: সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রহারে গাড়িচালকের হাত ভাঙার অভিযোগ, প্রতিবাদে জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশবাহিনী। পাল্টা পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় জনতা।
ধূপগুড়ি: ফের অভিযোগের কাঠগড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার। এবার সিভিক ভলান্টিয়ারের মারে গাড়িচালকের হাত ভাঙার অভিযোগ উঠল। সোমবার রাতে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি শহরে। ঘটনায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। তাদের অভিযোগ, সিভিক ভলান্টিয়াররা নিয়মিতভাবে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়ে তোলাবাজি করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশবাহিনী। পাল্টা পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন একটি খালি ট্রলার ভুট্টা আনার জন্য গুয়াহাটি থেকে বিহারের দিকে যাচ্ছিল। ধূপগুড়ি চৌপতির কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় কোনও কারণে সিগন্যাল পড়ে গেলে মাঝপথেই ট্রলার লরিটি দাঁড় করিয়ে দেন চালক। তখনই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার এসে সেই লরি চালককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হন লরিচালক তাহির খান। ৪৬ বছর বয়সি তাহির রাজস্থানের রামগড়ের বাসিন্দা। তাঁর ডান হাতে আঘাত লাগে। সেই দৃশ্য দেখেই স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং রাস্তা অবরোধ করেন। দোষী সিভিক পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে পেয়ে উত্তেজিত জনতা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তারপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিএসপি (ক্রাইম) ঘটনাস্থলে যান এবং উত্তেজিত জনতার সঙ্গে কথা বলেন। তবে অবরোধ তুলতে অস্বীকার করেন বাসিন্দারা দোষীদের শাস্তির দাবি করেন।পরে অবশ্য ডিএসপি (ক্রাইম)- র অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।
অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারাই আহত লরিচালককে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। সেখান থেকে তাঁকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে রেফার করা হয়। ধূপগুড়ি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবস্মিতা চক্রবর্তী বলেন, “চালকের ডান হাতে গভীর আঘাত লেগেছে। হাতটি ভেঙে গিয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাই তাকে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়ি রেফার করা হয়।”