AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gorkhaland: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বার্লার বাড়িতে আচমকা বিমল গুরুং, উসকে দিলেন গোর্খাল্যান্ডের দাবি

তবে আসন্ন ভোটে কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবেন, সে ব্যাপারে ভোটের আগেই সিদ্ধান্ত নেবেন গোর্খা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।

Gorkhaland: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বার্লার বাড়িতে আচমকা বিমল গুরুং, উসকে দিলেন গোর্খাল্যান্ডের দাবি
বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বাড়িতে বিমল গুরুং।
| Edited By: | Updated on: Mar 10, 2023 | 8:15 PM
Share

বানারহাট: পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনড়। শুক্রবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লাকে (John Barla) পাশে বসিয়ে একথাই মনে করিয়ে দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। এদিন জন বার্লার বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকও করেন বিমল গুরুং। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে বসেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পৃথক রাজ্যের (Gorkhaland) দাবি উসকে দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো। তিনি স্পষ্টত বলেন, “গোর্খাল্যান্ডের দাবি আমাদের ছিল এখনও আছে ,যত দিন নিঃশ্বাস থাকবে এই দাবি থাকবে।” অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিমল গুরুংয়ের দাবিকে সমর্থন করছেন কিনা তা স্পষ্ট না করলেও গোর্খাদের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান খোঁজা হচ্ছে, সময়ই সব বলবে বলে জানান তিনি। তাহলে কি এটা ফের ভোটের আগে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরুর ইঙ্গিত নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য? এখন এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পাহাড় থেকে ডুয়ার্সের আকাশে।

জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে দিল্লি থেকে ফিরেছেন বিমল গুরুং। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেই সোজা বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বাড়িতে যান তিনি। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পর প্রথমবার জন বার্লার বাড়িতে এলেন মোর্চা সুপ্রিমো। তারপর দুজনের মধ্যে একপ্রস্থ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষেই জন বার্লার সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি উসকে দেন বিমল গুরুং। তিনি বলেন, “কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (UT) কিংবা গোর্খাল্যান্ড – বাঙালি, আদিবাসী, নেপালী, রাজবংশী, বিহারি সমস্ত সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য যা ভালো – তা হওয়া প্রয়োজন।” সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গে দেখা করেও গোর্খাল্যান্ডের বিষয় তিনি আবারও উত্থাপন করেছেন এবং সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও বিষয়টি বিজেপি নেতাদের সামনে তুলে ধরছেন বলে জানান মোর্চা সুপ্রিমো। শীঘ্রই এই বিষয়ে সমাধান হবে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “এই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান জরুরি। ভারত সরকারও সেটা চায়।” অন্যদিকে, গুরুংয়ের সুরেই জন বার্লা বলেন, “গোর্খাদের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান খোঁজা হচ্ছে। সমস্যার সমাধান ‘ইউ.টি’ হবে কি না, তা আগামীতেই বলা যাবে। সকলের স্বপ্নই পূর্ণ হবে।”

অন্যদিকে, ২০১৭ সালের পর থেকে জিটিএ-তে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগে সরব হন বিমল গুরুং। তিনি বলেন, “২০১৭ সালের পর থেকে পাহাড়ে একটা প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত হয়নি। কেবল পাহাড়ে দুর্নীতি হয়েছে। কোনও উন্নয়ন হয়নি।” তবে আসন্ন ভোটে তিনি কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবেন, তা এদিন স্পষ্ট করেননি। ভোটের আগেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে, রাজনৈতিক দিক থেকে বিমল গুরুং বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে থাকলেও, রাজনৈতিক মেরুকরণ থাকলেও তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব মৃত্যু পর্যন্ত অটুট থাকবে বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা।