Haroa ISF-TMC: আইএসএফ থেকে তৃণমূলে শতাধিক কর্মী সমর্থক, হাড়োয়ার রাজনীতিতে শোরগোল
Haroa ISF-TMC: দলত্যাগী আইএসএফ নেতা সাইফুল মণ্ডল বলেন, "এই সরকার আসার ফলে সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে, যেভাবে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। উন্নয়নের শরিক হতে তারা তৃণমূলে যোগদান করলাম।"
উত্তর ২৪ পরগনা: হাড়োয়ায় আইএসএফে ভাঙন। আইএসএফের নেতাকর্মী-সহ শতাধিক কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। বসিরহাটের হাড়োয়া (Haroa) ব্লকের বকজুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। জানা গিয়েছে, বুধবার আইএসএফ নেতা সাইফুল মণ্ডলের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন। বকজুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে আইএসএফের নেতা কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফড়িদ জমাদার ও হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি খালেক মোল্লা-সহ নেতৃত্ব। রীতিমতো মিছিল করে সাড়ম্বরে হয় যোগদানপর্ব। দলত্যাগী আইএসএফ নেতা সাইফুল মণ্ডল বলেন, “এই সরকার আসার ফলে সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে, যেভাবে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। উন্নয়নের শরিক হতে তারা তৃণমূলে যোগদান করলাম।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আইএসএফ থেকে তৃণমূলে যোগদান করায় রাজনৈতিকভাবে হাড়োয়ায় তৃণমূল আরও শক্ত সংগঠন তৈরি হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহল। হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফড়িদ জমাদার বলেন, “যেভাবে আমাদের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সার্বিকভাবে তথা সব ধর্মের মানুষের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে। তারই ফল হিসাবে আজকে আইএসএফ থেকে তৃণমূলের যোগদান করলেন।” এদিকে, আইএসএফ নেতৃত্বের বক্তব্য, ভয় দেখিয়ে চাপ তৈরি করে তাঁদের দল বদলাতে বাধ্য করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলের পর বাংলার সংখ্যালঘু এলাকাগুলিকে নিয়ে তৎপর শাসকদল। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরও ঘরোয়া আলোচনায় দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে সংখ্যালঘু এলাকাগুলিকে পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরইমধ্যে হাড়োয়ায় আইএসএফ থেকে তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।