Hooghly: চুঁচুড়া হাসপাতালে গুলি কাণ্ডে গ্রেফতার পাঁচ, কেন হামলা হয়েছিল? উঠে আসছে নতুন তথ্য

Hooghly: শুরু থেকেই পুলিশের সন্দেহ ছিল পুরনো কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই গুলি চালানো হয়েছিল। বাবু পাল সহ মোট পাঁচজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

Hooghly: চুঁচুড়া হাসপাতালে গুলি কাণ্ডে গ্রেফতার পাঁচ, কেন হামলা হয়েছিল? উঠে আসছে নতুন তথ্য
হাসপাতালে গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 9:49 AM

হুগলি : কিছুদিন আগেই হুগলির চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে গুলি চলেছিল। সে অভিযুক্ত টোটন বিশ্বাসকে আদালতে পেশ করার আগে মেডিক্যাল চেক আপ করাতে নিয়ে হয়েছিল। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি থেকে বেরনোর সময় অভিযুক্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়েছিল টোটন। সেই অবস্থাতেই টোটন দাবি করেছিল, বাবু পাল তাকে মারার জন্য লোক পাঠিয়েছিল টোটনের সেই দাবি ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শুরু থেকেই পুলিশের সন্দেহ ছিল পুরনো কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই গুলি চালানো হয়েছিল। সেই বাবু পাল সহ মোট পাঁচজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জলপাইগুড়ি থেকে এবং একজনকে কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কীভাবে অভিযুক্তদের নাগালে পেল পুলিশ?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছিল বাবু পাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। নিজেদের মধ্যে স্কুপ কলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিল তারা। পুলিশ তাদের মোবাইলের আইপি অ্য়াড্রেস ট্র্যাক করে খোঁজ শুরু করে। কিন্তু অভিযুক্তরা পুলিশের নজর এড়াতে স্কুল কলের মাধ্যমে কথা বলছিল। এর ফলে পুলিশকে তাদের খোঁজ পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। কাটোয়া পর্যন্ত গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল পুলিশকে। পরবর্তী সময়ে সূত্র মারফত পুলিশের কাছে খবর আসে বাবু ও তার দলবল উত্তরবঙ্গে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। সেই মতো চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের একটি টিম হানা দেয় উত্তরবঙ্গে। সেখানে জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংলগ্ন একটি এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয় বাবু পাল সহ মোট চার জনকে। পাশাপাশি কল্যাণী থেকেও ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মন্টু চৌধুরী নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন পাঁচজনকেই আদালতে পেশ করা হয়। বাবু সহ এক জনের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাকি তিনজনের টিআই প্যারেড দেওয়া হয়েছে।

কোন শত্রুতা থেকে টোটনকে খুনের চেষ্টা?

পুলিশ সূত্রে খবর, বাবু পালকে জেরা করে জানা গিয়েছে, টোটনের সঙ্গে তার পুরনো শত্রুতা ছিল। সেই কারণেই টোটনকে হাসপাতালে মারার চেষ্টা করেছিল সে। জানা গিয়েছে, এর আগেও টোটন ও বাবু উভয়েই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। পরে বাবু জামিন পেলেও টোটন মাদক মামলায় জেলেই থেকে যায়। এদিকে জেলে বন্দি থাকাকালীন টোটনের কারবারে ভাগ বসানোর চেষ্টা করে বাবু। সূত্রের খবর, টোটনের বিপক্ষে যারা ছিল তাদের সঙ্গেও হাত মেলানোর চেষ্টা করেছিল বাবু। সেই কারণেই এই শত্রুতা বলে জানা গিয়েছে।