Fake Cough Syrup: পরিচিত ব্র্যান্ডের লেবেল মেরেই চলছিল কারবার, হুগলি থেকে বাজেয়াপ্ত কয়েক হাজার বোতল
Fake Cough Syrup: নকল সিরাপ মূলত বাংলাদেশে পাচার হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। গাইঘাটা থানা এলাকা থেকে একটি নকল সিরাপ বোঝাই গাড়ি আটক হয় দিন কয়েক আগে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালককে। এরপরই এসটিএফ মগড়ার কারখানার খোঁজ পায়। বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে প্রায় ছয় হাজার বোতল সিরাপ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন এসটিএফ-এর ইন্সপেক্টর।
মগড়া: কয়েক লক্ষ টাকার নকল কাফ সিরাপ ও ওষুধ বাজেয়াপ্ত করল পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। হুগলির মগড়ার নতুনগ্রামের একটি নতুন বাড়িতে রমরমিয়ে এই কারবার চলছিল বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। অভিযোগ, রীতিমতো কারখানা বানিয়ে মেশিন নিয়ে গিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল এই নকল সিরাপ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পোলবার রাজারহাটের বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাস ১০ মাস আগে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে তিনি আরবে থাকেন। মাস পাঁচেক আগে তিনি বাড়িটি ভাড়া দেন বনগাঁর বাসিন্দা এক ব্যাক্তিকে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিই লোকজন নিয়ে গিয়ে নকল কাফ সিরাপ (ফেন্সিডিল) ও ওষুধ তৈরি করছি। পুলিশ জানতে পেরেছে, পরিচিত ওষুধ কোম্পানির লেবেল নকল করে বোতলে ছাপানো হত। সিরাপ তৈরির কাঁচামাল, ওষুধ বোতনজাত করা ও বোতল সিল করার মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
নকল সিরাপ মূলত বাংলাদেশে পাচার হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। গাইঘাটা থানা এলাকা থেকে একটি নকল সিরাপ বোঝাই গাড়ি আটক হয় দিন কয়েক আগে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালককে। এরপরই এসটিএফ মগড়ার কারখানার খোঁজ পায়। বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে প্রায় ছয় হাজার বোতল সিরাপ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন এসটিএফ-এর ইন্সপেক্টর।
কার্তিক মোহন ঘোষ, জানকী বাগচি, রাহুল পান্ডে ও পিনাকী সরকারের নেতৃত্বে চলে এই অভিযান। সূত্রের খবর সিমলার এক নামি ওষুধ কোম্পানির লেবেল ব্যবহার করা হত নকল সিরাপের ক্ষেত্রে। হাওড়া থেকে কিনে আনা হত প্লাস্টিকের বোতল ও ছিপি। এরপর বোতলগুলি পেটিতে ভরে পাচার করা হত। মগড়া থানার সহযোগিতায় গোপনে নজরদারি চালাচ্ছিল এস টি এফ। কারখানার আশপাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে এসটিএফ। আড়াই লিটার ক্লোরোফর্ম বাজেয়াপ্ত করা হয়।