Goghat School: শিক্ষিকার অভাবে বন্ধ হতে বসেছে পঠন-পাঠন, দুর্দশা কাটাতে পাশে দাঁড়াচ্ছে পার্শ্ববর্তী স্কুল
Nakunda: গ্রামবাসীদের অনুরোধে পাশের বিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন শিক্ষক গার্লস স্কুলে এসে ক্লাস নিচ্ছেন।
গোঘাট: গোঘাটের (Goghat) প্রত্যন্ত গ্রাম নকুন্ডা। ফি বছর বন্যায় ভাসে এই গ্রাম। গ্রামে রয়েছে নকুন্ডা গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল। কিন্তু সেখানে কার্যত বেহাল দশা। শিক্ষিকার অভাবে (Lack of Teachers) প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল স্কুলের পঠনপাঠন। তিনজন মাত্র শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষিকার পদ শূন্য। তার উপর অফিসের কাজেও এদিক ওদিক যেতে হয় একজন শিক্ষিকাকে। করতে হয় মিড ডে মিলের তদারকিও। এদিকে পড়ুয়ার সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শতাধিক ছাত্রী এখানে পড়ে। একজন শিক্ষিকা উৎসশ্রী প্রকল্পে বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তারপর থেকেই কার্যত এই দীন দশা নকুন্ডার এই স্কুলে। এমন অবস্থায় গ্রামবাসীদের অনুরোধে পাশের বিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন শিক্ষক গার্লস স্কুলে এসে ক্লাস নিচ্ছেন। এমনই ছবি ধরা পড়ল টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায়।
স্কুলে একাধিক বিষয়ের শিক্ষক নেই। বাংলা মাধ্যমের স্কুলে। অথচ বাংলারই শিক্ষিকাই নেই। শুধু তাই নয়, সংস্কৃত, গণিত, জীবন বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞানেরও শিক্ষিকা নেই। কার্যত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে কম্পিউটার ক্লাস রুমও। ছাত্রীদের শেখানোর জন্য সরকারি টাকায় কেনা কম্পিউটার বিদ্যালয়ে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এমনই করুণ দৃশ্য স্কুলের। ছাত্রীরা শিখবে কোথায়? এই সমস্ত বিষয় পড়াবে কে? উত্তর খুঁজতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল টিভি নাইন বাংলা। এইসব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে অভিভাবকদের মনেও। স্কুলের টিআইসি শ্যামলী পাল অবশ্য মেনে নিচ্ছেন, শিক্ষিকার অভাবের কথা। ভূগোলের শিক্ষিকার অভাব পূরণ করতে গ্রামবাসীদেরই অনুরোধে গ্রামেরই এক যুবতী ভূগোলের ক্লাস নেন বিনা পারিশ্রমিকে।
ওই গ্রামেরই নকুন্ডা কাত্তায়নী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামমোহন ভট্টাচার্য বলছেন, মেয়েদের স্কুলে শিক্ষিকার অভাব থাকায় তাঁদের স্কুল থেকে রুটিন মাফিক শিক্ষকদের পাঠানো হয় গার্লস স্কুলে ক্লাস নিতে। কিন্তু অভিভাবকদের মনে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। এভাবে আর কতদিন? সেই নিয়ে প্রশ্ন তাঁদের মনেও। এভাবে চলতে চলতে একদিন স্কুলটাই উঠে যাবে না তো? সরাসরি ক্যামেরায় কিছু না বললেও, এমন প্রশ্ন কিন্তু ঘুরেফিরে আসছে গ্রামবাসীদের মনে।