Hooghly: দিনের পর দিন বাড়েনি বেতন, চাকরি ছাড়তেই বেধড়ক মার প্রাক্তন Boss-এর
Hooghly boy: চন্দননগর পালপাড়া মেকিতলার বাসিন্দা। বাবা প্রবীর চক্রবর্তীর সঙ্গে থাকেন তিনি। বছর খানেক আগে তিনি সাড়ে ৬ হাজার টাকা মাসিক বেতনে কলকাতার একটি 'কনসালটেন্সি' সংস্থায় কাজে যোগ দেন।
হুগলি: বেসরকারি সংস্থার চাকরি। মাসের শেষে বেতন মিলত সাড়ে ৬ হাজার টাকা। সেই বেতন কবে পাবেন, তারও কোনও ঠিক ছিল না। কথায় কথায় ভয় দেখানো হত বলেও অভিযোগ। এদিকে, অসুস্থ বাবাকে নিয়ে টানাটানির সংসার। সব মিলিয়ে আর পেরে উঠছিলেন না প্রজ্জ্বল। তাই শেষ পর্যন্ত চাকরিটা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর তার জেরেই রাস্তার মাঝে যুবককে প্রবল মারধর করার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন ‘বস’-এর বিরুদ্ধে। চাকরি ছেড়ে অন্য সংস্থায় চাকরি নেওয়ার জন্যই তাঁকে মার খেতে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হুগলির চন্দননগরের যুবক প্রজ্জ্বল চক্রবর্তী। বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। আহত যুবক আপাতত শয্যাশায়ী। চন্দননগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছে যুবকের পরিবার।
চন্দননগর পালপাড়া মেকিতলার বাসিন্দা। বাবা প্রবীর চক্রবর্তীর সঙ্গে থাকেন তিনি। বছর খানেক আগে তিনি সাড়ে ৬ হাজার টাকা মাসিক বেতনে কলকাতার একটি ‘কনসালটেন্সি’ সংস্থায় কাজে যোগ দেন। অর্থাৎ ওই সংস্থা থেকে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হত। গত বছরের ২৮ জুলাই চাকরিতে যোগ দেন ওই যুবক। কয়েক মাস কাজ করার বেতন বাড়ানোর কথা বলেন তিনি। যুবকের অভিযোগ, সংস্থার মালিক বেতন তো বাড়াননি, উল্টে তাঁর বাড়িতে ফোন করে ভয় দেখাতেন। বলতেন, অন্য কোথাও চাকরির কথা যেন না ভাবা হয়। মূলত চাকরি প্রার্থীদের ফর্ম ফিল আপ করানোর মতো একাধিক কাজ করতে হত তাঁকে।
এরই মধ্যে একটি বেসরকারি বিমা সংস্থায় চাকরি পেয়ে যান প্রজ্জ্বল। পুরনো সংস্থায় তিনি জানান, বাবাকে চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু নিয়ে যেতে হবে, তাই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। যুবকের দাবি, তাঁর বাবা যে অসুস্থ, এ কথা সত্যি। আর ওই কথা না বললে চাকরিটা ছাড়তে দেওয়া হত না তাঁকে। নতুন সংস্থায় তিনি কাজে যোগ দেন চলতি বছরের ৩ অগস্ট। কলকাতার এজরা স্ট্রিটে কাজে গিয়েছিলেন কয়েকদিন আগে। সেখানেই প্রজ্জ্বলের মুখোমুখি হন তাঁর পুরনো সংস্থার মালিক সুমন বিশ্বাস। সেখানেই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর নাকে, বুকের পাঁজরে আঘাত লেগেছে। চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। চিকিৎসক তাঁকে আপাতত বেড রেস্ট নিতে বলেছেন।
প্রজ্জ্বলের বাবা অসুস্থ, দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মা ও বাবাকে নিয়েই সংসার। তাঁর উপার্জনেই সংসার চলে। প্রবীর বাবু বলেন, ছেলেকে গরুর মতো খাটাত। বেতনও বাড়ায়নি। কাজ ছাড়বে বলায় হুমকি দেওয়া হত তাঁকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি অর্থার ওই সংস্থার মালিককে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এবার কীভাবে ওই যুবক কলকাতায় যাবেন, তা নিয়েই আশঙ্কায় আছে পরিবার।