Locket Chatterjee: ‘এবারে অনুব্রত-পার্থরা জেলে বসে দুর্গা ঠাকুর দেখবেন’, আক্রমণে লকেট
Locket Chatterjee: “কোনও তৃণমূল নেতা যদি এসে বলেন ১০০ দিনের কাজে নাম তুলে দেব,টাকা দেব, মিছিলে চলুন, মিটিংয়ে চলুন। তাহলে আমি বলছি সেই সব তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখুন।” তোপ খানাকুলের বিধায়কের।
আরামবাগ: বৃহস্পতিবার বিকালে আসার কথা থাকলেও সন্ধ্যায় তিনি আসেন খানাকুলের একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা হরিশ্চক এলাকায়। এখানে তিনি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে একটি সভাও করেন। সেখান থেকেই তীব্র আক্রমণ শানালেন পার্থ-অনুব্রতদের (Partha-Anubrata)। কথা হচ্ছে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে(BJP Leader Locket Chatterjee) নিয়ে। এদিন সন্ধ্যায় সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার তো কেন্দ্রীয় প্রকল্প গুলোই নাম পালটে দিয়ে নিজেদের মন মত নাম দিয়ে দিচ্ছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা অন্য ভাবে খরচ করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করুন।”
একসঙ্গে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা একটা লজ্জাজনক ব্যাপার। চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে। দেখা যাবে কেউ হয়তো পরীক্ষা দেয়নি, অথচ তিনি চাকরি করছেন। আবার দেখা যাবে কেউ হয়তো ফেল করেছিল,সেও চাকরি করছে। কিন্তু যারা পাশ করেছিল তাদেরকে চাকরি দেওয়া হয়নি। সবকিছুই টাকার বিনিময়ে হয়েছে, আর এই টাকা যাচ্ছে উপরতলায়। কিছু কিছু নেতা-মন্ত্রীর বাড়ি থেকে এই টাকা উদ্ধার হচ্ছে।”
এখানেই না থেমে পার্থ-অনুব্রতর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ তো গরুচুরিতে এক নম্বর, কয়লা চুরিতেও এক নম্বর, বালি চুরিতেও এক নম্বর হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যের পুলিশ তো চাকর-বাকরে পরিণত হয়ে গিয়েছে। চোর ডাকাত কেউই পাড় পাবে না। সবাই জেলে যাবে। এবারে অনুব্রত, পার্থরা জেলে বসে দুর্গা ঠাকুর দেখবেন।” পাশাপাশি এদিন তীব্র আক্রমণ শানান খানাকুলের বিধায়ক তথা রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বলছি কোনও তৃণমূল নেতা যদি এসে বলেন ১০০ দিনের কাজে নাম তুলে দেব,টাকা দেব, মিছিলে চলুন, মিটিংয়ে চলুন। তাহলে আমি বলছি সেই সব তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখুন। আমাকে খবর দিন। আমি পুলিশ নিয়ে যাব।”