বাঁশবেড়িয়ার প্রশাসক আদিত্য নিয়োগী গুলি কাণ্ড: পুলিশের জালে প্রাক্তন প্রশাসকের স্বামী

বাঁশবেড়িয়ারর (Bansberia Shooting Case)  বর্তমান পুর প্রশাসন আদিত্য নিয়োগীকে গুলি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন পুরপ্রশাসকের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা শীল এবার পুলিশের জালে।

বাঁশবেড়িয়ার প্রশাসক আদিত্য নিয়োগী গুলি কাণ্ড: পুলিশের জালে প্রাক্তন প্রশাসকের স্বামী
নিজস্ব চিত্র (বাঁ দিকে- সোনা শীল, ডান দিকে- সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়)
Follow Us:
| Updated on: May 17, 2021 | 7:26 AM

হুগলি: বাঁশবেড়িয়ারর (Bansberia Shooting Case)  বর্তমান পুর প্রশাসন আদিত্য নিয়োগীকে গুলি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন পুরপ্রশাসকের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা শীল এবার পুলিশের জালে। এছাড়াও সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোলা-সহ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত ১২মে বাঁশবেড়িয়ার প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগীকে গুলি করার ঘটনায় নাম উঠে আসে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার পুরপ্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা শীলের। ঘটনার পর সোনা শীলের দুটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অদিত্য নিয়োগীর সমর্থকরা। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন সোনা শীল। রবিবার সন্ধার পর চুঁচুড়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সোনা শীল তার দেহরক্ষী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও দুজনকে।

উল্লেখ্য, ১২ মে সকালে বাঁশবেড়িয়ার বেলতলায় বাজারে গিয়েছিলেন পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। বাড়িতে কালী পুজো থাকায় ফল কিনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাজারেই তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা হয়। দূর থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আদিত্য নিয়োগী। তাঁর পিঠে গুলি লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শিরদাঁড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়েই আদিত্য নিয়োগী আঙুল তুলেছেন বাঁশবেড়িয়া পুর প্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী সত্যরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে।

কাতরাতে কাতরাতে আদিত্য নিয়োগী বলেন, “গত ছ’বছর ধরে আমাকে নানা ভাবে কষ্ট দিচ্ছে সত্যরঞ্জন শীল। আমাকে মিথ্যা মামলায় একাধিকবার ফাঁসিয়েছে। তাতেও শান্তি হয়নি। এবার মেরে ফেলার চেষ্টা করছে।” সরব হয় দলের একাংশ। সত্যরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। আদিত্য নিয়োগী তাঁর প্রতিবাদ করতেন। সেই কারণেই এই হামলা বলে অভিযোগ।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমিত ঘোষ জানান, আদিত্য নিয়োগির নেতৃত্বেই তাঁরা পুরসভার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সেই কারণেই এই হামলা। একই কথা শোনা যায় সপ্তগ্রাম বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের গলায়। তাঁরও বক্তব্য, তৃণমূল দলকে ভাঙিয়ে জমি-বাড়ি দালালি থেকে তোলাবাজি করেছেন সত্যরঞ্জন। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই কড়া পদক্ষেপ করে দফতর।

আরও পড়ুন: সুখবর! করোনার সঙ্গে লড়তে সোমবারই বাজারে আসছে ডিআরডিও’র ওষুধ

প্রকট হতে থাকে তোলাবাজি তত্ত্ব। তদন্তে পুলিশ অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়। এরপরই সত্যরঞ্জন শীলের খোঁজে চলতে থাকে তল্লাশি। এরপর কড়া পদক্ষেপ করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরও। পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অরিজিতা শীলকে। বদলে পুর প্রশাসক করা হয় আদিত্য নিয়োগীকেই।