BJP Worker Suicide: ফেসবুক লাইভের পরই উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ, বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে বাড়ছে রহস্য
BJP Worker Suicide: সোমবার ভোরে বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। তাঁকে মানসিক নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ।
হুগলি : বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে তরজা তুঙ্গে। ফেসবুক লাইভে ভূরি ভূরি অভিযোগ করার পরই উদ্ধার হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধায়কের নাম করে বিচারও চেয়েছেন ওই কর্মী। বিজেপির দাবি, মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল তাঁদের দলের কর্মীকে। তবে তৃণমূল এই অভিযোগ মানতে নারাজ। অভিষেক চৌধুরী নামে ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির তরফে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কেওটা মিলিটারি কলোনির বাসিন্দা অভিষেক চৌধুরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সোমবার সকালে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এ দিন ভোরে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন অভিষেক। বিজেপির দাবি, অভিষেক দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ফেসবুকে লাইভ ভিডিয়ো দেখেই বন্ধুরা এ দিন সকালে ছুটে যান অভিষেকের বাড়িতে। অভিষেকের পরিবারও কিছু জানত না। এরপর ডাকাডাকি করেও অভিষেকের সাড়া পাওয়া যায়নি। দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ২৮ বছর বয়সী অভিষেককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর পরিবারের কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে যে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন অভিষেক, সেখানে খুনের হুমকি পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বিজেপি করেন বলেই অত্যাচারিত, এমনটাও বলেছেন অভিষেক। স্থানীয় একটি ক্লাবের সম্পাদক কুণাল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছে, তাঁর পরিবারকেও প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ক্লাবের সম্পাদক কুণাল সরকার এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ওই ক্লাবের সদস্য পঙ্কজ দাস জানান, ওই ক্লাবের সঙ্গে অভিষেকের দাদা যুক্ত। অভিষেক কেন এমন অভিযোগ করেছেন, তা তিনি জানেন না।
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ জানান, অভিষেক হুগলি মণ্ডলের দীর্ঘদিনের পুরনো কর্মী ছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল বলে দাবি করেন তিনি। দলের তরফে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ফেসবুক লাইভে চুঁচুড়ার বিধায়কের নামও বলেছেন অভিষেক। বিধায়কের কাছে বিচার চেয়েছেন তিনি। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেউ বিজেপি করলে তাঁকে যদি কেউ হুমকি দেওয়া হয়ে থাকে, সেটা খুবই লজ্জাজনক। এটা ঘটা উচিত নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনও দল করা গণতান্ত্রিক অধিকার। আমার দল তৃণমূল, কিন্তু আমি সবার বিধায়ক। যদি কেউ হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে উচিত ছিল থানায় অভিযোগ জানানো। থানায় অভিযোগ হয়েছিল কি না আমি জানিনা।’