Bandel Bomb: বন্ধ স্কুল প্রাঙ্গণেই কিনা এসব! ব্যান্ডেলে হইচইকাণ্ড
Bandel Bomb: স্কুলের সামনের রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীরা কাজে যাচ্ছিলেন। তাঁদেরই কারোর চোখে পড়ে বিষয়টা। সঙ্গে বাকিদেরও ডেকে আনেন।
হুগলি: বন্ধ স্কুল। স্কুলের সামনের রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীরা কাজে যাচ্ছিলেন। তাঁদেরই কারোর চোখে পড়ে বিষয়টা। সঙ্গে বাকিদেরও ডেকে আনেন। ধারেকাছে কেউ যেতে সাহস পাননি। স্কুল প্রাঙ্গণেই এ কী! চমকে ওঠেন সকলে। স্কুলের সামনের প্রাঙ্গণেই পড়়ে রয়েছে তাজা বোমা। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। একটি নয়, তিন-তিনটি তাজা বোমা ছড়িয়ে রয়েছে স্কুলের সামনের মাঠেই। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ব্যান্ডেল নলডাঙা নারায়ণপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে। স্কুলের মাঠে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে যায় ব্যান্ডেল থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নলডাঙা নারায়ণপুর প্রাইমারি স্কুলটি কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রী কমতে থাকায় স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে ভর্তি করা হয়। এখন স্কুলটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়। তাছাড়া স্কুল ইন্সপেক্টরের স্টোররুম হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আজ সকালে কাজে যাওয়ার সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কারোর নজরে পড়ে স্কুলের মাঠে পড়ে রয়েছে তাজা বোমা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন ব্যান্ডেল ফাঁড়িতে। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করার ব্যবস্থা করে। তবে স্কুল চত্বরে বোমা কীভাবে আসে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “স্কুলের সামনের অংশ। বাচ্চারা এখানে খেলাধুলো করে। সেখানেই কিনা বোমা পড়ে রয়েছে! চারিদিকে যা ঘটছে, তাতে ভয় হয়। এদিনও কারোর চোখে না পড়লে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারত।”
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির হুগলি জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এলাকার সন্ত্রাস তৈরি করতেই এই সব চলছে।” স্কুল চত্বর থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনার প্রতিবাদে নলডাঙা মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি-১ বাপ্পাদিত্য ঘোষ ও চুঁচুড়া থানার আইসি অনুপম চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ এসে বিজেপি কর্মীদের অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু যায় বিক্ষোভকারীদের। হুগলি জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ-সহ চার বিজেপি নেতাকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়া পান তাঁরা।
বিজেপিকে পাল্টা তোপ দেগে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। পঞ্চায়েতে সমস্ত আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না। জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াতে এই কাজ করছে বিজেপি। আমি প্রশাসনকে বলব এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ঠিক ওই স্কুলের সামনে থেকেই বোমা উদ্ধার হয়। সেবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালেই বোমা উদ্ধার হয়। এবারও তাই। ওই স্কুলের অদূরেই তৃণমূলের কার্যালয় রয়েছে। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। ব্যান্ডেল ফাঁড়ির পুলিশ ওই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। স্থানীয় তিন বাসিন্দাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।