Hooghly: শিশুদের ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় কলকাতা নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগী রাজ্য, শুরু হচ্ছে পাইলট প্রোজেক্ট
Hooghly: এই ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় চেকআপ হবে, সুগার পরীক্ষা হবে এবং পরবর্তীকালে কোনও কমপ্লিকেশন দেখা দিলে, সেটাও দেখা হবে। পাশাপাশি ইনসুলিনও বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। রক্ত পরীক্ষার জন্য যে সব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তাও দেওয়া হবে।
হুগলি: শিশুদের ডায়াবেটিস (Diabetes) চিকিৎসার ক্ষেত্রে কলকাতা নির্ভরতা কমাতে শুরু হচ্ছে বিশেষ পাইলট প্রোজেক্ট। ডায়াবেটিস চিকিৎসার বিকেন্দ্রীকরণ করতেই এই উদ্যোগ। হুগলির ইমামবাড়া জেলা হাসাপাতালে (Hooghly Imambara Hospital) শুরু করা হল এই পাইলট প্রোজেক্ট। মঙ্গলবার থেকে হুগলি ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে চালু করা হয়েছে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস ক্লিনিক। এই ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় চেকআপ হবে, সুগার পরীক্ষা হবে এবং পরবর্তীকালে কোনও কমপ্লিকেশন দেখা দিলে, সেটাও দেখা হবে। পাশাপাশি ইনসুলিনও বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। রক্ত পরীক্ষার জন্য যে সব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তাও দেওয়া হবে।
শিশুদের টাইপ ওয়ান ডায়বেটিস বা মধুমেহ রোগের চিকিৎসায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যই এই পাইলট প্রজেক্ট চালু করা হল। আপাতত সপ্তাহে একদিন করে চলবে এই ক্লিনিক। পরবর্তী সময়ে সপ্তাহের সাতদিনই খোলা থাকবে। ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ পার্থ ত্রিপাঠি জানান, ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস ক্লিনিক চালু হল মঙ্গলবার থেকে।এই ডায়বেটিস ক্লিনিকের ধারনাটাই নতুন। ভারতে টাইপ ওয়ান ডায়বেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি। এতদিন পর্যন্ত তাদের যথাযথ ব্যবস্থা ঠিকঠাক ভাবে করা যায়নি। তাদের প্রতিনিয়ত চেকআপ, জীবনদায়ী ওষুধ যেমন ইনসুলিন সরকারি ভাবে দেওয়া যায়নি। এতদিন শুধুমাত্র দু’একটি মেডিকেল কলেজে এই পরিষেবা চালু ছিল।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে চারটি হাসপাতালে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই ক্লিনিক চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার হুগলি জেলা হাসপাতালের ওই ডায়বেটিস ক্লিনিক সুপারভাইস করতে উপস্থিত ছিলেন নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট চিকিৎসক সুবীর গোস্বামী। তিনি জানান, “ডায়বেটিস ভারতে মহামারির আকারে রয়েছে। প্রতি নয় জন মানুষের মধ্যে একজন ডায়বেটিসে আক্রান্ত। তবে যেটি নিয়ে কথা বলা হয়, সেটি টাইপ টু ডায়বেটিস। প্রতি একশ জনে চার থেকে পাঁচজন টাইপ ওয়ান ডায়বেটিসে আক্রান্ত। আজ সারা বিশ্বে টাইপ ওয়ান ডায়বেটিসে আক্রান্ত সবথেকে বেশি রয়েছে ভারতে। অনেক সময় অনেক শিশু আছে যাদের টাইপ ওয়ান ডায়বেটিস থাকলেও তা ধরা যায় না, এটাই দুঃখের।”
সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এই ক্লিনিকের উদ্দেশ্য হল ডায়বেটিস চিকিৎসা পরিষেবার বিকেন্দ্রীকরণ। শুধুমাত্র কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলিই না, জেলা স্তরে, ব্লক ও গ্রাম স্তরে নামিয়ে আনতে হবে ডায়বেটিস পরিষেবা।” তাঁর মতে, এই পাইলট প্রজেক্ট সফল হলে, ভারত সহ অনেক উন্নয়নশীল দেশে এই ধরনের ক্লিনিক কাজ করতে পারে।