Hooghly: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে একাধিক আদিবাসী কর্মী-সমর্থক

Hooghly: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল মন্তব্যের জের? তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে একাধিক আদিবাসী কর্মী-সমর্থক।

Hooghly: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে একাধিক আদিবাসী কর্মী-সমর্থক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2022 | 6:04 PM

ধনিয়াখালি: বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। ইতিমধ্যেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের নেতাদের তোপ-পাল্টা তোপে তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির মাটি। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটের সলতে পাকানো শুরু হতে না হতেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে প্রায়শই আসছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী কোন্দলের খবর। অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরের। এরইমধ্যে এবার দলের অন্দরে বড় ভাঙন দেখা গেল হুগলিতে (Hooghly)। ধনিয়াখালিতে (Dhaniakhali) তণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন একাধিক আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।     

রবিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন ধনিয়াখালির কুড়ি জন আদিবাসী মহিলা সহ কুড়িআদিবাসী পরিবার। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা আদিবাসী মহিলাদের দাবি, রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছে যে দলের মন্ত্রী সেই দলে তাঁরা আর থাকতে চান না। বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মুর দাবি, “সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এখানকার মানুষ। তাই আগামী পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করতেই তাঁদের বিজেপিতে যোগদান।

এদিন ভারতীয় জনতা পার্টির জনজাতি মোর্চার হুগলি সাংগঠনিক জেলার পরিচালনায় বীরসা মুন্ডা গৌরব দিবস উপলক্ষে ধনিয়াখালির বি মল্লিকপুর বাজার স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এসটি মোর্চার সভাপতি তথা হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা এসটি মোর্চার সভাপতি সোমলাল মুর্মু, হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ মুখার্জি, ধনিয়াখালি বিধানসভার ব্লক সমিতির কো-কনভেনার অজয় কৈরি সহ বিজেপির অন্যান্য কার্যকর্তারা। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাহ্যিক গঠন নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। প্রতিবাদে রাস্তায় নামে আদিবাসীরা। এমনকী অখিল গিরির মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতেও দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরইমধ্যে একযোগে এতগুলি আদিবাসী পরিবারের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ আরও অস্বস্তি বাড়াবে শাসকদলের। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।