Hooghly Murder: চামড়া পোড়ার প্রকট গন্ধ বের হচ্ছিল অথচ এক ফোঁটা চিৎকার নেই, বাড়ি বয়ে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখলেন চরম নৃশংসতা

Hooghly Murder: অভিযুক্ত স্বামী হরেকৃষ্ণ জানা পেশায় সোনা ব্যবসায়ী। দোকান লাগোয়া তাঁদের বাড়ি। বেশ কিছু দিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না।

Hooghly Murder: চামড়া পোড়ার প্রকট গন্ধ বের হচ্ছিল অথচ এক ফোঁটা চিৎকার নেই, বাড়ি বয়ে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখলেন চরম নৃশংসতা
স্ত্রীকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2022 | 11:01 AM

হুগলি: ছুটির সকালে প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়েছিলেন বাথরুমের জানালা দিয়ে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। সঙ্গে চামড়া পোড়ার প্রকট গন্ধ। অথচ কোনও চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ নেই। চরম নিঃস্তব্ধতা। সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা কানাঘুষো করতে থাকেন। এই ভাবেই বেশ কিছুক্ষণ পর পাড়ার বয়স্কদের নিয়ে প্রতিবেশীরা হাজির হন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা খোলেন। তারপরই হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। প্রতিবেশীরা সোজা ঘরে ঢুকে বাথরুমে চলে যান। যতক্ষণে তাঁরা পৌঁছন রীতিমতো পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবেশীরা। স্ত্রীকে খুন করার পর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুলের কৃষ্ণনগর গ্রামে। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তদের চরমতম শাস্তির দাবিতে এলাকা ঘিরে রেখেছে। ঘটনা স্থলে খানাকুল থানার পুলিশ। তবে পুলিশ অভিযুক্তের স্বামী,মৃতার জা ও জায়ের মাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম মানসী মণ্ডল জানা(৪২)। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। ঘটনার জেরে উত্তাল এলাকা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামী হরেকৃষ্ণ জানা পেশায় সোনা ব্যবসায়ী। দোকান লাগোয়া তাঁদের বাড়ি। বেশ কিছু দিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। পারিবারিক বিবাদ লেগেই থাকত। হরেকৃষ্ণর ভাই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। একই বাড়িতে অন্য ঘরে থাকেন মানসীর ছোট জা। অভিযুক্ত হরেকৃষ্ণ জানার গ্রামের বাড়ি খানাকুলের নন্দনপুর এলাকায়। কর্মসূত্রে তাঁরা কৃষ্ণনগরেই থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে হরেকৃষ্ণ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে যান। আর সেই ঘটনা জানতে পারায় স্ত্রী মানসীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়।

মানসী বিষয়টি জানতে পেরে যাওয়ায় সংসারে চরম অশান্তি শুরু হয়। তার জেরেই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠছে হরেকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শনিবারই খুন করা হয়েছে মানসীকে। এরপর দেহ লোপাট করতে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। আগুনে পুরোপুরি ছাই হয়ে যায় দেহ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যায় খানাকুল থানার পুলিশ। পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় পুলিশ। হরেকৃষ্ণ ও তাঁর ভাইয়ের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।