Bus Accident: কলকাতা যাওয়ার পথে খুলে গেল সরকারি বাসের চাকা, যাত্রীদের প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’ শাহবুদ্দিন
Bus Accident: বাসচালক শেখ শাহাবুদ্দিন বলেন,"আরামবাগ থেকে বাস ছাড়ার পর সোদপুরের কাছে চাকা থেকে আওয়াজ হচ্ছিল। শিয়াখালাতেও সেই আওয়াজ হয়। বাস থামিয়ে একবার দেখা হয়। তারপর আবার বাস চলাই। সেই সময় বাসের গতিবেগ ছিল ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার।
চণ্ডিতলা: অল্পের জন্য রক্ষা পেল বহু প্রাণ। সরকারি বাসের চাকা খুলে গিয়ে বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস ছিটকে পড়ল পুকুরের জলে। তবে চালকের বুদ্ধির জেরে প্রাণ বাঁচল যাত্রীদের। ঘটনাটি হুগলির চণ্ডিতলা কলাছড়া এলাকার ঘটনা।
জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন নিগমের একটি বাস আরামবাগ ডিপো থেকে ধর্মতলায় যাচ্ছিল। যাত্রী বোঝাই ছিল সেটি। হুগলির চন্ডীতলার কলাছড়া এলাকায় অহল্যা বাই রোডে আসতেই বিপত্তি। বাসের সামনের ডানদিকের চাকা খুলে বেরিয়ে যায়। আর সেটি গিয়ে পড়ে রাস্তার পাশের একটি পুকুরে। চাকা খুলে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই টলমল করতে শুরু বাস। ওই অবস্থাতেই কিছুটা দূর নিয়ে গিয়ে চালক বাস দাঁড় করিয়ে দেন। ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
বাসচালক শেখ শাহাবুদ্দিন বলেন,”আরামবাগ থেকে বাস ছাড়ার পর সোদপুরের কাছে চাকা থেকে আওয়াজ হচ্ছিল। শিয়াখালাতেও সেই আওয়াজ হয়। বাস থামিয়ে একবার দেখা হয়। তারপর আবার বাস চলাই। সেই সময় বাসের গতিবেগ ছিল ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। কিন্তু হঠাৎ করেই সামনের চাকা খুলে বেরিয়ে যায়। তারপর সেটি কাত হয়ে ডান দিকে হেলে পড়ে। বিপদ বুঝে সেই অবস্থায় আমি ব্রেক কষি। বাস উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যাত্রীদের কথা ভেবে একটা চাকা ছাড়া ওই অবস্থাতেই বাস কিছুদূর নিয়ে যাই। তারপর গতি কমিয়ে বাস দাঁড় করিয়ে দিই। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ধরনের দুর্ঘটনা বলে মনে হয়।”
বাসযাত্রী উৎপল দত্ত কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তীরা বলেন,”মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি। চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতে বেঁচে গিয়েছি।”