Jagadhatri Puja: কালী বিদায়ে শোনা যায় জগদ্ধাত্রীর পদধ্বনি, প্রস্তুতি শেষে ফিনিশিং টাচ দিতে ব্যস্ত আলোর নগরী চন্দননগর
Jagadhatri Puja: দীপাবলি শেষ হতেই যেন উৎসবের শুরু, জগদ্ধাত্রী পুজোয় আলোর সাজে সেজে উঠছে চন্দননগর।
হুগলি: উমার হাত ধরে উৎসবে মেতে উঠেছিল আপামর বাঙালি। বর্তমানে দীপাবলির আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে গোটা দেশ। তবে আলোর উৎসব শেষ হতেই উৎসবের মরসুমের প্রায় শেষ। তবে আলোর শহর চন্দননগরে (Chandannagar) কিন্তু উৎসবের (Festival) শুরু সেখান থেকেই। আর কয়েকদিন পরেই চন্দননগরে শুরু হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো। এখন চরম ব্যস্ততা পুজো উদ্যোক্তা আর শিল্পীদের। চন্দননগর ও তার পাশের শহর ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে প্রায় দুশোর বেশি জগদ্ধাত্রী পুজো হয় এই এলাকায়।
চন্দননগরের বিবিরহাট উত্তরাঞ্চল সন্তান সংঘের পুজো এবারে ৫৬ বছরে পা দিল। বাঁশ, ব্যাকারি, চট দিয়ে বিশাল প্যান্ডেল প্রস্তুত হচ্ছে থিমের নাম ‘অশনি সংকেত’। প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে, দূষণের ফলে মানব জীবনের পাশাপাশি সমুদ্রের তলায় প্রাণিজগৎ বিপদের মুখে। এটাই থিম ভাবনায় ফুটিয়ে তোলার জন্যই এখন রাত দিন এক করে কাজ করে চলেছেন মণ্ডপ শিল্পী থেকে শুরু করে পুজো উদ্যোক্তারা। প্লাস্টিক মুক্ত সমাজ গড়তে পুজোকে আধার করেই দিতেই চাইছেন সচেতনতার বার্তা।
চন্দননগরের আরও এক বিখ্যাত বারোয়ারী বোড় কালিতলার পুজো এবার ৫৩ বছরে পা দিল। জিটি রোডের পাশেই পুকুরের পিছনে হয় এই পুজো। এবার পুকুরের উপর দিয়ে সেতু তৈরি করা হচ্ছে। থিমের নাম ‘আশ্রয়’। যে সব মানুষের মাথার উপর ছাদ নেই, তাঁরাই যেন মা জগদ্ধাত্রীর কাছে এসে আশ্রয় চাইছেন। এই রকম একটা চিন্তাভাবনা থেকে কাল্পনিক মন্ডপটি তৈরি হচ্ছে। ইট, পাথরের টুকরো, কাঠ, লোহার জাল দিয়ে চলছে মণ্ডপ সজ্জার কাজ। জগদ্ধাত্রী মাতার মূর্তিও তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এখন শুধুই ফিনিশং টাচ। সেই চরম ব্যস্ততার ছবি চোখে পড়ল পড়ছে মণ্ডপ প্রাঙ্গনে।