Chandannagar Municipal: চন্দননগরে ৩১ তৃণমূল, ১টি আসনে বামেরা, ইন্দ্রনীলের কটাক্ষ ‘ওটা কালো টিকা’
Chandannagar Municipal Election 2022: ২০১৫ সালে ২১টি ওয়ার্ডে জয়ী হয় তৃণমূল। দু'জন তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁরা পরে তৃণমূলে যোগ দেন।
হুগলি: চন্দননগর পুরনিগমের ( Chandannagar Municipal Election) ভোটে একজনই বিরোধী দলের প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের অভিজিৎ সেন জয়ী হয়েছেন ১২৩ ভোটে। সেই জয়কে তৃণমূলের দেওয়া কালো টিকা বলে কটাক্ষ চন্দননগরের বিধায়ক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের (Indranil Sen)। সোমবার ভোটের গণনা শুরু হতেই দেখা যায় ৩২টি ওয়ার্ডের কম বেশি সবক’টিতেই এগিয়ে ঘাসফুল। সময় যত এগিয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়লাভ শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। গণনাপর্ব শেষ হওয়ার পর দেখা গেল ৩২-এর মধ্যে ৩১টিতেই তৃণমূলের জয়ধ্বজা। সবুজে সবুজ সাবেক ফরাসডাঙা। প্রার্থীরা সবুজ আবির মেখে ডিজে বাজিয়ে মিছিল বের করেন। খলিসানিতে তৃণমূলের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইন্দ্রনীল সেন। সেখানেই ইন্দ্রনীল বলেন, “এবার নির্বাচনে ২২ জনই ছিলেন নতুন মুখ। তাঁরা প্রত্যেকে জয়ী হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেসব প্রকল্প রাজ্যে চলছে তার সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন। পাশাপাশি পুরনিগমের পরিষেবাতেও মানুষ খুশি। সে কারণেই এভাবে গণতন্ত্রের উৎসবে সকলে সামিল হয়েছেন।” ইন্দ্রনীল সেনের কথায়, “রাজ্যের বিরোধী শিবির বিজেপি খাতাই খুলতে পারল না চন্দননগরে। শূন্য পেল ওরা।”
এরপরই ইন্দ্রনীল সেনের কটাক্ষ, “তবে একটা ওয়ার্ড সিপিএম জিতেছে এরকম নয়। আমাদের ছোটবেলায় একটা বয়স অবধি মা-দিদা কপালে একটা কাজলের টিপ দিয়ে দিত। যাতে নজর না লাগে। আমরাও একটি ওয়ার্ড দিয়ে ওই নজর না লাগে করে দিয়েছি। ”
২০১৫ সালে ২১টি ওয়ার্ডে জয়ী হয় তৃণমূল। দু’জন তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁরা পরে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই পুরবোর্ড আড়াই বছর পর ২০১৮ সালে ভেঙে যায় নিজেদের কোন্দলেই। পুর প্রশাসক বসিয়ে এতদিন চন্দননগর পুরনিগম চলছিল। অবশেষে একটা পূর্ণ বোর্ড পেতে চলেছেন এখানকার মানুষ। কিন্তু অতীতের পুনরাবৃত্তি হবে না তো?
সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে ইন্দ্রনীল সেন বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে কাজ করলে। কিন্তু তা সংশোধন করে নিতে হবে। আমরা চন্দননগরের মানুষের জন্য সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে একসঙ্গে কাজ করেছি। আগামী দিনে ভদ্রেশ্বর পুরসভাতেও ২২টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই জয়লাভ করব।” বিদায়ী পুরবোর্ডের মেয়র রাম চক্রবর্তী এবার জয়ী হয়েছেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প পুরনিগমের মাধ্যমে আমরা রূপায়িত করেছি। তার সুবিধা মানুষ পেয়েছেন। চন্দননগরবাসীকে ধন্যবাদ যে তাঁরা আবার আমাদের সেবা করার সু্যোগ দিয়েছেন। বেশ কিছু কাজ বাকি আছে সেগুলি আগামিদিনে বাস্তবায়িত করা হবে।”