Chandannagar Municipal Election Result 2022: পরপর দু’বার মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন, চন্দননগরে এবারেও কি ‘রাম’রাজত্ব?

Municipal Elections 2022: তবে রাম চক্রবর্তী ছাড়াও আরও একটি নাম উঠে এসেছে এই পুরনিগমে। মুন্না আগরওয়াল। তিনিও কি মেয়র হতে পারেন?

Chandannagar Municipal Election Result 2022: পরপর দু'বার মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন, চন্দননগরে এবারেও কি 'রাম'রাজত্ব?
তৃণমূলের হয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী দুইবারের মেয়র রাম চক্রবর্তী (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2022 | 11:49 AM

হুগলি: চন্দননগর পুরনিগমের ( Chandannagar Municipal Election) ভোটে একজনই বিরোধী দলের প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের অভিজিৎ সেন জয়ী হয়েছেন ১২৩ ভোটে। বাকি চন্দনগরের ভাগ্যে ঘাসফুল-চন্দন। ‘চন্দননগর প্রায় বিরোধীশূন্য। কাজের বিচার করেছেন মানুষ।’ বলছেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী রাম চক্রবর্তী। পরপর, দুইবার মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন। এবারও কি কাঁধে গুরুদায়িত্ব? জল্পনা তেমনই। তবে রাম চক্রবর্তী ছাড়াও আরও একটি নাম উঠে এসেছে এই পুরনিগমে। মুন্না আগরওয়াল। তিনিও কি মেয়র হতে পারেন?  যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কী বলছেন রাম চক্রবর্তী? তাঁর কথায়, “এখানে বিজেপি থাকবে না। ৩০ নং ওয়ার্ডে রেকর্ড মার্জিনে জিতব আমি, আগেই বলেছিলাম। দ্বিতীয় স্থানের জন্য এখানে লড়াই হয়েছে। মেয়র কে হবে তা নেত্রী ঠিক করবেন। তাঁর সিদ্ধান্তই তো চূড়ান্ত।”

কী বলছেন, চন্দননগরের বাসিন্দারা? তাঁরা অবশ্য দাবি, তৃণমূল জেতাতেই তাঁরা খুশি। বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনের দৌলতে একাধিক উন্নয়ন হয়েছে এলাকায় বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। তবে অনেকেই চেয়েছেন চন্দননগরের দায়িত্বে আগের মতোই থাকুন রাম চক্রবর্তী। কিছু জায়গায় অবশ্য নাম এসেছে মুন্না আগরওয়ালেরও। তবে, চূড়ান্ত কিছুই জানা যায়নি।

বস্তুত, পুরভোটে নজরকাড়া ফল চন্দননগরে। ঘাসফুল ঝড়ে চন্দননগরেও কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বিরোধীরা। তেত্রিশ আসনের পুরসভায় একটি আসনে ভোট হয়নি। ভোট হওয়া ৩২টির মধ্যে ৩১টি আসনই তৃণমূলের দখলে। ময়দানেই নেই হাত-পদ্ম। এক সিটেই হিসেব শেষ কাস্তে-হাতুড়ির।

২০১৫-র পুরভোটে দখলে ছিল ২১টি আসন। ৬ বছরের মাথায় এক ধাক্কায় ১০টি আসন বাড়িয়ে নিল তৃণমূল। চন্দননগর পুরসভার ৯৭ শতাংশ আসনই এ বার ঘাসফুলের ঝুলিতে। এই পুরসভায় ৩১ আসনে জিতেছে তৃণমূল। খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। একটি আসনে জিতে মুখ রক্ষা সিপিএমের। মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেসও। খাতা খোলেনি নির্দলের। কেবল একটি আসনে ভোট হয়নি।

২০১০-এর আগে বামেদের দখলে ছিল চন্দননগর পুরনিগম। পালাবদলের পর চন্দননগরেও জোড়াফুল ফোটে। ২০১৫-র পুরভোটে চন্দনগরে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। তবে ৩ বছরেই সেই বোর্ড ভেঙে যায়। চার বছর পর ফের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুরসভা দখল করল শাসকদল। দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও মনোবল হারাতে  নারাজ বামেরা। গোটা পুরসভায় একটিমাত্র আসন বিরোধীদের দখলে দখলে। রেড ভলান্টিয়ারের জনপ্রিয়তাই জয়ের চাবিকাঠি, দাবি জয়ী বামপ্রার্থী অভিজিৎ সেনের।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার, চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দিরে শ্রী কুমার ভট্টাচার্য্য ভবনের দুটি হলে ২০ টি টেবিলে ভোট গণনা শুরু হয়। প্রথমে ১ থেকে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গণনা হয়। গণনা কেন্দ্রে আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। গণনা কেন্দ্রের সামনের সব রাস্তা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গণনা কেন্দ্রের এলাকা।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh On Suvendu Adhikari: ‘শুভেন্দুর মেজাজ হারানো স্বাভাবিক, ওতে আমি কিছু মনে করি না’