Chandrayaan-3: আগের অভিযানে বড় ভূমিকা ছিল ছেলের, চন্দ্রযান-৩ উড়তেই উৎকণ্ঠায় হুগলির চন্দ্রকান্তের পরিবার
Chandrayaan-3: বয়স হয়েছে মধুসূদনবাবুর। ৬৮ বছর বয়স হলেও এখনও করেন কৃষিকাজ। তিনি বলছেন, বছরে দু’বার আসে ছেলেরা। তবে ফোনে কথা হয় রোজই।
গুড়াপ: আগের অভিযানে বড় ভূমিকা ছিল হুগলির গুড়াপের চন্দ্রকান্ত কুমারের। চন্দ্রযান-২ এর যোগাযোগের জন্য যে অ্যান্টেনা তৈরি হয়েছিল তার ডিজাইনের দায়িত্বে ছিলেন বছর বিয়াল্লিশের এই বিজ্ঞানী। যদিও সেই মিশন সফল হয়নি। চাঁদে নামার ঠিক আগের মুহূর্তে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ল্যান্ডার বিক্রম। ফলে চাঁদের আর নামা হয়নি চন্দ্রযান-২ এর। তবে অতীত ভুলে ফের চাঁদে পাড়ি দিয়েছে ভারত। এবার মিশন ৩.০ (Chandrayaan-3)। এই নতুন মিশন পুরোদমে সফল হোক, এখন এটাই প্রার্থনা করছেন হুগলির গুড়াপের চন্দ্রকান্তের পরিবার।
চন্দ্রকান্তের ভাই শশীকান্তও রয়েছেন ইসরোতেই। মা অসীমা দেবী, বাবা মধুসূদন কুমার থাকেন খাজুরদহ মাজিনান শিবপুর গ্রামে। সেখান থেকেই গোটা দেশবাসীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে প্রার্থনা। পুরনো ব্যর্থতাকে ভুলে শেষ পর্যন্ত চাঁদের মাটি ছুঁতে পারবে চন্দ্রযান-৩। এমনই মনে করছেন শশীকান্ত-চন্দ্রকান্তের বাবা-মা।
বয়স হয়েছে মধুসূদনবাবুর। ৬৮ বছর বয়স হলেও এখনও করেন কৃষিকাজ। তিনি বলছেন, বছরে দু’বার আসে ছেলেরা। তবে ফোনে কথা হয় রোজই। শেষবার জানুয়ারিতে গ্রামে এসেছিলেন চন্দ্রকান্ত। তবে মিশন ৩.০ তে নেই চন্দ্রকান্ত। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় যেখান থেকে আজ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে সেখান থেকে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার দূরে বেঙ্গালুরুতে ইসরোর কোয়ার্টারে রয়েছেন চন্দ্রকান্ত। তবে সেখানে বসেও এখন প্রতিটা মুহূর্ত কাটছে উৎকণ্ঠায়। প্রার্থনা একটাই ভালয় ভালয় চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফেলুক চন্দ্রযান-৩। তবে তাঁর টিমের পাঠানো চন্দ্রযান-২ এর অরবিটার এখনও রয়েছে চাঁদের কক্ষপথে। চাঁদে নামার সময় সেটির সাহায্য লাগতে পারে চন্দ্রযান-৩ এর।